চৌদ্দগ্রামে দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে বাড়তি টাকা আদায়ের অভিযোগ

প্রকাশ | ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

চৌদ্দগ্রাম (কুমিলস্না) প্রতিনিধি
কুমিলস্নার চৌদ্দগ্রামে দাখিল পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সিংরাইশ রহমানিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ.ন.ম মোখলেছুর রহমান নোমানের বিরুদ্ধে। সাধারণ বিভাগে সরকার নির্ধারিত ফি ২০৫০ টাকা হলেও কোনো শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রেই তা মানা হয়নি। পরীক্ষার্থীদের থেকে গড়ে ৩ হাজার ৫শ' এমনকি একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্যতার অভিযোগে ৪-৫ হাজার টাকা হারেও আদায় করা হচ্ছে। একাধিক পরীক্ষার্থী অভিযোগ করেছেন, পারিবারিক অক্ষমতায় মাদ্রাসা অধ্যক্ষ বরাবর ফি কমানোর আবেদন করলেও কোনোভাবেই ফি কমানো হয়নি। অনেক শিক্ষার্থীদের ধমক দিয়ে বলা হয়েছে, মাদ্রাসা কত টাকা করে নিচ্ছে তা বাইরের কেউ যাতে না জানে। মাদ্রাসা সূত্রে জানা যায়, আসন্ন দাখিল পরীক্ষায় ৩৫ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে ফরম পূরণ করছে। এদের মধ্যে টেস্ট পরীক্ষায় সব বিষয়ে কৃতকার্য হয়েছে ১১ জন পরীক্ষার্থী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবক জানান, উপজেলার মুন্সীরহাট ইউনিয়নের যাত্রাপুরের এক পরীক্ষার্থীর নিকট থেকে ৪ হাজার ৫শ' টাকা আদায় করা হয়েছে। পার্শ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার আরেক পরীক্ষার্থী জানান, সে সব বিষয়ে কৃতকার্য হলেও তার নিকট থেকে ৩ হাজার ৫শ' টাকা আদায় করা হয়েছে। এ সময় তাকে মাদ্রাসা থেকে বলা হয়েছে অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের যাতে বলে তার থেকে ৪ হাজার ৫শ' টাকা আদায় করা হয়েছে। মাদ্রাসার কম্পিউটার অপারেটর আব্দুল হালিম জানান, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের থেকে জরিমানা হিসেবে ১ হাজার টাকা বাড়তি আদায় করা হচ্ছে। এর বাইরে টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি জানেন না। সিংরাইশ রহমানিয়া বালিকা আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আ.ন.ম মোখলেছুর রহমান নোমান বলেন, বোর্ড নির্ধারিত ফি'র বাইরে অনলাইন বাবদ ৩শ'-৪শ' টাকা বাড়তি নেওয়া হচ্ছে। এর বাইরে নেওয়া হচ্ছে কিনা তা আগামীকাল মাদ্রাসায় কথা বলে জানতে পারব। চৌদ্দগ্রাম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কে.এম. মীর হোসেন জানান, বোর্ড নির্ধারিত ফি'র বাইরে টাকা আদায়ের নিয়ম নেই। আমি আপনার মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রম্নতই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।