সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের চরে গরু-মহিষের বাথান -যাযাদি
সিরাজগঞ্জের কাজিপুরের চরে গরু-মহিষের বাথান থেকে প্রতিদিন ২ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ হচ্ছে। অপরদিকে প্রয়োজনীয় সংরক্ষণের অভাবে সংগৃহীত দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক ফরমালিন ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। রোববার সরেজমিন উপজেলার মানিকপোটল চরে গিয়ে ওই চরের বাথান পরিচালক বিশু মিয়ার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাজিপুরের চরাঞ্চলে তাদের বাথান ছাড়াও আরও ৯টি বাথান রয়েছে।
প্রতিটি বাথানে ২৫-৩০টি গরুসহ প্রায় বাথানে দেড় থেকে দুই শতাধিক করে মহিষ আছে। বাথানগুলো সাধারণত শ্রাবণ মাস থেকে জ্যৈষ্ঠ মাস পর্যন্ত চরে অবস্থান করে থাকে। এই সময়ের মধ্যে পশুগুলোকে খাওয়ানোর জন্য চরের ঘাসের অবস্থান ও চরের পরিমাণের ওপর বিবেচনায় চর মালিকদের দেড় থেকে দুই লক্ষাধিক টাকা ইজারা হিসেবে দিতে হয়। এর বাইরে গবাদি পশুর জন্য অল্প পরিমাণ চালের কুড়া-ভুষি দিতে হয়। অপরদিকে আয় হিসেবে প্রতিদিন বাথানপিছু ১৮০ থেকে ২০০ লিটার দুধ সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত দুধ বাথান মালিকগণ লিটারপ্রতি ৮০ টাকা করে বিক্রয় করে থাকেন। ভালো খবরের পাশাপাশি খারাপ দিক হলো বাথানের শ্রমিকরা দুধ সংগ্রহে ধুলা, বালু ও মাছি বেষ্টিত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দুধ সংগ্রহের পাশাপাশি সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ফরমালিন দিয়ে গরু দোহানের ১৮ থেকে ২০ ঘণ্টা সময় বাথানে রেখে বাজারজাত করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পৃথকভাবে কাজিপুর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রিন্টু আহম্মেদ ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোমেনা পারভীন জানান, বিষয়টি আমার জানা নাই, আপনাদের থেকে শুনলাম, এখন তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।