মণিরামপুরে ১০ দিনের ব্যবধানে একই ঘেরে বিদু্যৎস্পৃষ্টে দুই কর্মচারীর মৃতু্য

যশোরের মণিরামপুরে ১০ দিনের ব্যবধানে একই মাছের ঘেরে বিদু্যৎস্পৃষ্টে দুই কর্মচারীর মৃতু্য হয়েছে। মাছের ঘেরে ত্রম্নটিযুক্ত বৈদু্যতিক সংযোগ ঠিক না করায় পরপর দুই জনের প্রাণহানির ঘটনায় ঘের মালিককে দুষছেন মৃতের স্বজনরা। মঙ্গলবার সকালে ও গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার ঝাপা গ্রামে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। বিদু্যৎস্পৃষ্টে মৃত দুই ব্যক্তির মধ্যে মঙ্গলবার সকালে উপজেলার ঝাপা গ্রামের মৃত মনিরুদ্দীন গাজীর ছেলে সৈয়দ গাজী এবং গত ১ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যায় একই গ্রামের মৃত মনছোব মোড়লের ছেলে আব্দুল আজিজ মারা যান। মৃত দু'জনই ওই গ্রামের আব্দুর রহমানের মাছের ঘেরের কর্মচারী ছিলেন। জানা যায়, অনেক দিন ধরেই আব্দুর রহমানের মাছের ঘেরের বৈদু্যতিক সংযোগে ত্রম্নটি ছিল। কর্মচারীরা ঘের মালিককে তাগাদা দিলেও সংযোগ ত্রম্নটিমুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। তারপরও জীবিকার তাগিদে কাজ করতেন তারা। বিদু্যৎস্পৃষ্টে গত ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মাছের ঘেরে আব্দুল আজিজ নামের এক কর্মচারীর মৃতু্যর ১০ দিন পর মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে একই মাছের ঘেরে একইভাবে সৈয়দ গাজী নামের আরেক কর্মচারীর মৃতু্য হয়। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে দুই খেটে খাওয়া মানুষের মৃতু্যতে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। মৃত আব্দুল আজিজের ভাই আকবর হোসেন জানান, কারেন্ট (বিদু্যৎ) ঠিক না থাকায় আগে একজন মারা গেছে। এজন্য তার ভাইকে ওই মাছের ঘেরে কাজ করতে নিষেধ করেছিলেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। ঘের মালিক আব্দুর রহমান গাজীর ব্যবহৃত মোবাইলে ফোন করলে একজন নারী রিসিভ করে বলেন, আব্দুর রহমান অসুস্থ, তিনি কথা বলতে পারবেন না। এ কারণে তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। স্থানীয় ঝাঁপা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই লুৎফর রহমান জানান, মাছের ঘেরে মঙ্গলবার সকালে বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে একজন মারা গেছেন। এর কয়েকদিন আগেও ওই ঘেরে একইভাবে একজনের মৃতু্য হয়েছিল। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।