রাজস্থলী স্বাস্থ্য বিভাগের অনুমতি ছাড়া সেগুন গাছ কাটার অভিযোগ
প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রাজস্থলী (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির রাজস্থলী উপজেলার স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সের ৪টি বড় সেগুন গাছ (আনুমানিক ১২০ ফুট) অবৈধভাবে কাটা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমন কি গাছ কেটে গাছের মোতা আগুন দিয়ে পোড়ানো হয় যাতে কোনো চিহ্ন না থাকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজস্থলী উপজেলার একমাত্র ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালের সিমানার বাউন্ডারী ওয়ালের ভেতরে ৪টি সেগুন গাছ অবৈধভাবে কেটে বিক্রির এমন অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর গাছ কাঠার বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাফিউলস্নাহ সিবলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, 'আমার অজান্তে এত সুন্দর বড় বড় সেগুন গাছ কেটে সাবাড় করে দিয়েছে হাসপাতাল প্রাঙ্গণ থেকে আমি জানি না। গাছগুলো কাঁটা হয়েছে দুই মাস আগে। আমি তদন্ত করে দেখবো কে বা কারা এ গাছগুলো কেটেছে।'
রাজস্থলী উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল হাসেম মেম্বার বলেন, 'রাজস্থলী হাসপাতালের বড় বড় গাছ অনুমতি ছাড়া কর্তন করে বিক্রি করার কথা লোকজনের মুখে শুনে আমরা কয়েকজন সেখানে যাই। গিয়ে দেখতে পাই হাসপাতালের বাউন্ডারী ওয়ালের সামনের অংশে অন্তত চারটি বড় গাছ কেটে গোড়ার অংশ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি গাছের মূল্য প্রায় ৪০ হাজার টাকার উপরে।'
কাপ্তাই পাল্পউড বাগান বিভাগের রাজস্থলী সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ তুহিনুল হক বলেন, গাছ কাটতে হলে সরকারি নিয়ম মেনে কাটতে হবে। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো অনুমোদন না নিয়ে গাছগুলো কেটে অপরাধ করেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ রেজু্যলেশন করা ছাড়াই ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ সব গাছ কেটে বিক্রি করা হয়েছে। যদিও নিয়ম রয়েছে বিশেষ প্রয়োজনে গাছ কাটতে হলে হাসপাতালের রেজু্যলেশন করে উপজেলা পরিষদের বন ও পরিবেশ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের সম্মতি শেষে বন বিভাগে আবেদন করতে হয়। সরেজমিন যাচাই-বাচাই করে মেজারমেন্ট ও গাছের মূল্য নির্ধারণের পর অনুমতি নিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে গাছ কাটা-বিক্রি করার অনুমোদন দেয় বন বিভাগ। সরকারি নিয়ম না মেনে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যোগসাজশে অবৈধভাবে গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
রাজস্থলী ইউএনও সজীব কান্তি রুদ্র বলেন, 'হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরকারি নিয়ম না মেনে অবৈধভাবে গাছ কেটেছে বলে আমি শুনেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবগত করেছি। পরবর্তীতে কোনো নির্দেশনা আসলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'