মাশরাফি ও তার পিতাসহ ২৯৫ জনের নামে ফের মামলা, গ্রেপ্তার দুইজন
প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তার পিতা গোলাম মুর্তজা স্বপনসহ ২৯৫ জনের নাম উলেস্নখ করে লোহাগড়া থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ এ মামলায় এজাহারভুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার সকালে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
সোমবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নড়াইল জেলা শাখার মুখ্য সংগঠক কাজি ইয়াজুর রহমান বাবু বাদী হয়ে থানায় মামলাটি করেন। মঙ্গলবার সকালে লোহাগড়া থানার ওসি আশিকুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন, আসামিরা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের নড়াইল জেলার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী ও গুন্ডা, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, খুনী, অস্ত্রধারী ব্যক্তি। গত ৪ আগস্ট সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার কর্মসূচি চলাকালে লোহাগড়ার সিএন্ডবি চৌরাস্তায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলা করে বেধড়ক মারপিট করে অভিযুক্তরা। বর্তমান নড়াইল জেলা সমন্বয়ক নেতা কাজী ইয়াজুর রহমানসহ আরও ১৩ জন শিক্ষার্থীকে রামদা, বাঁশের লাঠি, লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়া ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে মামলা বিবরণীতে বাদী উলেস্নখ করেন।
মামলায় মাশরাফি ও তার পিতা ছাড়াও সদ্য নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নাঈম ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক স্বপ্নীল শিকদার নীল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুন্সী আলাউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র সৈয়দ মশিয়ূর রহমান, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিকদার আব্দুল হান্নান রুনু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল হক রোম, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ফয়জুল আমীর লিটু, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের ২৯৫ জনের নাম উলেস্নখসহ আরও অজ্ঞাত সাড়ে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
লোহাগড়া থানার ওসিও আশিকুর রহমান জানান, মামলায় উপজেলার চরকরফা গ্রামের জুন্নু মুন্সি এবং বয়রা গ্রামের আজাদ শেখ নামে দুইজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উলেস্নখ্য, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নড়াইল সদর থানা ও লোহাগড়া থানায় নড়াইল-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নামে ৩টি মামলা হয়েছে এবং এসব মামলায় একাধিক নেতাকর্মীকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে সংশ্লিষ্ট পুলিশ।