বারহাট্টায় অটো রাইস মিলে ব্যবহৃত হচ্ছে পস্নাস্টিকের বস্তা
প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
নেত্রকোনার বারহাট্টায় ৪টি অটো রাইস মিল রয়েছে। ৪ মিলেই পস্নাস্টিকের বস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০১০ সালের একটি আইন অনুযায়ী পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের আইন থাকলেও মিল মালিকরা আইনের ধার ধারে না। কম দামে পস্নাস্টিকের বস্তা পাওয়া যাওয়ায় পাটের বস্তা ব্যবহারে অনীহা মিল মালিকদের।
বারহাট্টায় প্রকাশ্য দিবালোকে প্রতিদিন পস্নাস্টিক বস্তায় চাল ভরে বাজারজাত করলেও প্রশাসনের কোন বাধা নিষেধ নেই। বিভিন্ন দোকানে বিভিন্ন সময় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করতে দেখা গেলেও অটো রাইস মিলে গিয়ে পস্নাস্টিকের ব্যাগ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিতে দেখা যায় না।
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, আইন অনুযায়ী ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুস-খুদ-কুড়া, পোল্ট্রি ও ফিশ ফিডের মোড়কের ক্ষেত্রে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক। পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছর কারাদন্ড কিংবা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রয়েছে। এ অপরাধ পুনরায় সংঘটিত হলে সর্বোচ্চ দ্বিগুণ দন্ডে দন্ডিত করারও বিধান রয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় বারহাট্টা উপজেলার ৪টি অটো রাইস মিলের মধ্যে বাউসী ইউনিয়নের একটি ও বারহাট্টা সদর ইউনিয়নের তিনটি রাইস মিলের প্রতিটিতে পস্নাস্টিকের বস্তায় চাল ভর্তি করে বাজারজাতের কাজ চলছে। বারহাট্টা সদরের চয়ন ব্রাদার্স অটো রাইস মিলের মালিক চঞ্চল কান্তি দত্ত বলেন, 'পলিথিন বস্তা যেহেতু সরকারিভাবে নিষিদ্ধ, তাই আমরা এর ব্যবহার আস্তে আস্তে বন্ধ করে দিচ্ছি। বিগত দিনের কিছু বস্তা ছিল এগুলো শেষ হয়ে গেলে আর আনবো না। তবে অনেকেই পস্নাস্টিকের বস্তা সস্তার জন্য ব্যবহার করে। ২৫ কেজি চালের জন্য ব্যবহৃত একটি পাটের বস্তার দাম ৩৫ টাকা আর পস্নাস্টিকের একটি বস্তার দাম ১২ টাকা। এছাড়াও পাটের বস্তায় চিকন চালগুলো বেড়িয়ে যায় সে কারণে অনেক ব্যবসায়ী পস্নাস্টিকের বস্তায় চাল নিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।' নেত্রকোনা পাট অধিদপ্তরের পাট উন্নয়ন সহকারী ইলিয়াস উদ্দিন যায়যায়দিনকে বলেন, 'আমরা সব ব্যবসায়ীকে পাটের মোড়ক ব্যবহারে প্রতিনিয়ত উদ্বুদ্ধ করছি। গত মাসে বারহাট্টায় বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ীকে পস্নাস্টিকের বস্তায় চাল বিক্রির জন্য জরিমানা করেছি।'
অটো রাইস মিল মালিকদের জরিমানা না করে চাল ব্যবসায়ীদের জরিমানা করলে কি লাভ হবে- এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, 'আমরা কিছুদিন আগে একটি অটো রাইস মিলে জরিমানা করেছি। অন্য মিলের ব্যাপারে তথ্য পেলে ইউএনও'কে নিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জরিমানা করব।'