আড়াইহাজারে নাতনিকে অপহরণে বাধা দেওয়ায় নানীকে হত্যা

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নাতনিকে অপহরণে বাধা দেওয়ায় নানিকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এদিকে, টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিদু্যৎস্পৃষ্টে প্রবাসীর মৃতু্য হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- আড়াইহাজার (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে নাতনিকে বলপূর্বক তুলে নিতে এসে বাধার মুখে পড়ে লাথির আঘাতে নানি শাহিদা বেগমকে (৬০) হত্যা এবং নানা ও মাকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করার অভিযোগ উঠেছে এক বখাটে ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। আহতাবস্থায় ভুক্তভোগী নাতনি মীমের মা রওশন আরা এবং নানা ফজলুল করিমকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত শাহিদা বেগমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার রাতে উপজেলার হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী এলাকায়। নিহত শাহিদার মেয়ে শারমিন আক্তার জানান, পাশের উচিৎপুরা ইউনিয়নের দাসিরদিয়া গ্রামের ছায়েদ আলীর ছেলে বখাটে আমানের (৩০) সঙ্গে হাইজাদী ইউনিয়নের সেন্দী গ্রামের রওশন আরার মেয়ে মীমের (১৬) ফেসবুকে পরিচয় হয়। কিন্তু পরে আর মীম আমানের সঙ্গে যোগাযোগ না রাখায় আমান মীমের এলাকায় এসে তাকে উত্যক্ত করতে থাকে। ঘটনার সময় মীমের গ্রামের দেলোয়ারসহ আরও কয়েকজনকে নিয়ে মীমকে তার বাড়ি থেকে বলপূর্বক তুলে নিতে চেষ্টা করে আমান। এতে বাধা দেন মীমের পরিবারের লোকজন। ফলে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। এতে আমানের লাথির আঘাতে ঘটনাস্থলেই মীমের নানি শাহিদা বেগমের মৃতু্য হয়। শাহিদা বেগমকে বাঁচাতে এলে নিহতের মেয়ে মীমের মা রওশন আরাকে মাথায় শাবল দিয়ে আঘাত করে এবং মীমের নানা ফজলুল করিমকেও পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় মীমের মা রওশন আরা ও নানা ফজলুল করিমকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ বৃহস্পতিবার সকালে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ মর্গে পাঠায়। আড়াইহাজার থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, হামলার ঘটনা ঘটলেও শাহিদা বেগমের মৃতু্য আঘাতের কারণে হয়েছে কি না তা ময়না তদন্তের রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি জানান, টাঙ্গাইলের সখীপুরে বিদু্যৎস্পৃষ্ট হয়ে ফজলুল হক (৪৫) নামের এক সৌদি আরব প্রবাসীর মৃতু্য হয়েছে। বৃহস্পতিবার উপজেলার বড়চওনা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফজলুল হক উপজেলার শ্রীপুর এলাকার ওসমান মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, ফজলুল হক উপজেলার বড়চওনা এলাকায় তার শ্বশুরবাড়িতে দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরতে যান। মাছ ধরার একপর্যায়ে বৈদু্যতিক ছেঁড়া তারে তিনি বিদু্যৎস্পৃষ্ট হন। এ সময় গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।