মার্কা দেখে ভোট দেওয়ায় মনোনয়ন বাণিজ্যের সুযোগ ঘটে :ড. মির্যা গালিব

প্রকাশ | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯:২৯

যাযাদি রিপোর্ট
প্রার্থীর সততা, দক্ষতা ও যোগ্যতা না দেখে শুধু মার্কা দেখে ভোট দেওয়ায় বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলগুলো রমরমা মনোনয়ন বাণিজ্যের সুযোগ পায়। এমন মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ড. মির্যা গালিব। শনিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (সিজিডি) আয়োজিত 'নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত: সমস্যা ও সম্ভাবনা' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, 'মার্কা দেখে ভোট দেওয়া আমাদের দেশের পুরোনো কালচার। প্রার্থী কে, তার যোগ্যতা-দক্ষতা কেমন, সৎ কি না, তা না দেখে নৌকা-ধানের শীষ-দাঁড়িপালস্নায় ভোট দেন। ভোটারদের এমন মানসিকতায় রাজনৈতিক দলগুলো মনোনয়ন বাণিজ্য করতে ম্যান্ডেট পেয়ে যায়। ফলে এ দোষ শুধু দলগুলোর নয়, ভোটারেরও।' ড. মির্যা গালিব বলেন, 'চব্বিশের গণঅভু্যত্থানের পর আমরা যদি নতুন একটি রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দিকে এগোতে চাই, তাহলে কেউ এ গণআন্দোলন একার বলে দাবি করবেন না। যার যতটুকু কৃতিত্ব ও অবদান, তা উদারচিত্তে তাকে দেবেন। এ আন্দোলনের সবচেয়ে বড় চরিত্র হলো- এখানে তরুণদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল; স্বতস্ফূর্ত ছিল। এটা অসাধারণ ও অভূতপূর্ব নতুন অভিজ্ঞতা।' তিনি বলেন, 'আন্দোলনের মাঠে অগ্রভাগে থেকে লড়াই করা তরুণদের কারও বয়স ১৫ বছর, কারও ২০, কারও ২৫ বছর। ডাটা বিশ্লেষণ করে দেখেছি- যারা অভু্যত্থানে শহীদ হয়েছেন, তাদের মধ্যে মাত্র ৫ থেকে ৭ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের ওপরে।' তরুণদের চোখে আগামীর বাংলাদেশ দেখার আহ্বান জানিয়ে ছাত্রশিবিরের সাবেক এ নেতা বলেন, 'একের পর এক অর্থনৈতিক ধাক্কা খাওয়ার পরও হাসিনা কীভাবে টিকে ছিলেন, তা নিয়ে গবেষণায় উঠে এসেছিল- বাংলাদেশের তরুণ জনশক্তির কথা। সেই তরুণরাই যখন ফ্রাস্টেটেড (হতাশাগ্রস্ত) হয়ে রাস্তায় নেমে এলো, তখন হাসিনার বিদায় ঘণ্টা বেজে গেলো। ফলে আগামী দিনের রাজনীতিতে তরুণদের আশা-আকাঙ্‌ক্ষাকে ধারণ করে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।'