একটি সড়কের কারণে ১০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ

প্রকাশ | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ইকবাল হোসেন জীবন, মিরসরাই (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে নদী ভাঙনে বেহাল নিউ বারোনী সড়ক -যাযাদি
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে একটি সড়কের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রায় ১০ হাজার এলাকাবাসীর। সড়ক নদীতে বিলীন হয়ে গেলেও বছরের পর বছর অনেক কষ্টে যাতায়াত করছেন এখনকার বাসিন্দারা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের এ সড়ক নিয়ে কোন মাথাব্যাথা নেই। দ্রম্নত সড়কের সংস্কারের জোর দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ওচমানপুর ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ নিউ বারোনী সড়ক। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বাঁশখালী, আজমপুর, পাতকোট, মুহুরী প্রজেক্ট গ্রামের প্রতিদিন শতশত মানুষ যাতায়াত করে থাকে। বিশেষ করে ওচমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়, ওচমানপুর দাখিল মাদ্রাসা, যাত্রামোহন স্কুল, পাতাকোট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শতশত ছাত্রছাত্রী যাতায়াত করে। কিন্তু সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গাচোরা ও কয়েকটি অংশে ফেনী নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এতে কোনোমতে মানুষের ব্যক্তিগত মালিকানাধীন জায়গায় ২ থেকে তিন ফুট রাস্তায় চলাচল করতে হয়। সড়কের ওই অংশ দিয়ে কোনো সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশা চলাচল করতে পাওে না। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে একেবারে চলাচল করা প্রায় অসম্ভব। সম্প্রতি স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ওই এলাকার মানুষের কষ্টের শেষ ছিল না। ওই এলাকার বাসিন্দা নুরুল আমিন, মহিউদ্দিন, দ্বিন মোহাম্মদ বলেন, 'একটি সড়কের জন্য আমরা বছরের পর বছর দুর্ভোগে রয়েছি। নদী দখল করে মৎস্য প্রকল্প করায় বর্ষাকালে পানি নিস্কাশন বাধাগ্রস্থ করে আমাদের গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কটি নদীগর্ভে চলে গেছে। এলাকার যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে গাড়ি চলাচল সম্ভব হয় না। স্থানীয় চেয়ারম্যান, মেম্বার বারবার আশ্বাস দিলেও কোন কাজ করেছি।' এখানকার বেশিরভাগ মানুষ বিএনপি-জামায়াত সমর্থক হওয়ায় বিগত ১৬ বছরে এক টাকার কাজও করেনি। তারা অভিযোগ করেন, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মজিবুল হক তার বাড়ি পর্যন্ত কার্পেটিং করে আর কাজ করেনি। এলাকার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন মাস্টার বলেন, 'আমরা বছরের পর বছর অবহেলিত। কেউ আমাদের খোঁজ রাখে না। রাস্তার কারণে অনেকে বিয়ের জন্য এসে ফিরে যায়। আমাদের দাবি নদীর পাড় ঘেঁসে একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করলে সড়ক হিসেবে ব্যবহার এবং নদী ভাঙন রোধ হবে।' ওচমানপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মজিবুল হক বলেন, 'সড়কের আমার বাড়ি পর্যন্ত বেশী গর্ত থাকায় কার্পেটিং করা হয়েছে। এরপর পুকুরের পাড় ও নদীতে বিলিন হয়ে যাওয়ায় সম্ভব হয়নি। তারপরও প্রথমে মাটি দিয়ে কাজ করতে হবে। রাস্তা বড় করে তারপর সলিং করা হবে।' এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহফুজা জেরিন বলেন, 'ওচমানপুর ইউনিয়নের নিউ বারোনি সড়কের বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। এলাকাবাসীও বিষয়টি আমাকে অবহতি করেনি। আমি শিগগিরই উপজেলা প্রকৌশলীকে পরিদর্শনে পাঠাব। এরপর সড়কের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।'