দুর্ধ্বর্ষ ডাকাতসহ তিন জেলায় গ্রেপ্তার ৬

প্রকাশ | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
তিন জেলায় নানা অপরাধে দুর্ধ্বর্ষ ডাকাতসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে ভোলায় ১২ মামলার আসামি দুর্ধ্বর্ষ ডাকাত, নেত্রকোনায় তিন মাদক ব্যবসায়ী ও ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় কঙ্কালসহ দুইজন গ্রেপ্তার হয়। আঞ্চলিক স্টাফ রিপোর্টার ও প্রতিনিধিদেও পাঠানো তথ্যে বিস্তারিত ডেস্ক রিপোর্ট- স্টাফ রিপোর্টার, ভোলা জানান, ভোলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর ১২ মামলার আসামি দুর্ধ্বর্ষ ডাকাত মো. ফজলুকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছের্ যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেপ্তার ফজলু ডাকাত জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার হাসান নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ মাঝির ছেলে। রোববার সকালে উপজেলার হাকিম উদ্দিন লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। র্ যাব-৮ এর ভোলা ক্যাম্পের কমান্ডার লে. শাহরিয়ার রিফাত অভি জানান, তার নেতৃত্বের্ যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ফজলু ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভোলার বিভিন্ন থানায় অস্ত্র, মাদক, ডাকাতি, দসু্যতা ও চাঁদাবাজীসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডের ১২টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৬ মামলার ওয়ারেন্ট মুলতবি রয়েছে। তাকে বোরহানউদ্দিন থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। স্টাফ রিপোর্টার, নেত্রকোনা জানান, নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার শ্যামগঞ্জ এলাকায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ২৩৮ পিস ইয়াবাসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে। নেত্রকোনার দায়িত্বপ্রাপ্ত ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিসানুল হায়দার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট নেত্রকোনা আর্মি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর নাজমুজ সাকিবের নেতৃত্বে একটি টিম শনিবার সন্ধ্যায় জেলার পূর্বধলা উপজেলায় শ্যামগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৩৮ পিস ইয়াবাসহ ৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি মোটর সাইকেল, ৫টি মোবাইল ফোন, একট সুইচ গান নাইফ ও নগদ ৫৭০০টাকা জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- উপজেলার শ্যামগঞ্জ এলাকার ফারুক আহমেদ (৩৫), একই উপজেলার বাদে পুটিকা গ্রামের আব্দুল আহাদ (১৮) ও রানা খান (৩৩)। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জব্দকৃত মালামালসহ পূর্বধলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় কঙ্কালসহ দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার ভোর সাড়ে ৫টায় পৌরসভার গেট থেকে চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- ময়মনসিংহ জেলার কুঠুরাকান্দা এলাকার রুবেল মিয়া (২৪) এবং জামালপুরের রুহিলী চরপাড়ার মনিরুজ্জামান মনির (২৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানার পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম। জানা যায়, চক্রের সদস্যরা উপজেলার চেচুয়া এলাকার বিভিন্ন কবরস্থান থেকে লাশ তুলে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে কঙ্কাল সংগ্রহ করে। এরপর ঢাকার বিভিন্ন স্থানে চড়ামূল্যে নির্ধারিত ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার ভোরে অভিযান চালিয়ে তাদেও গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের সঙ্গে থাকা একটি তাবিলস ব?্যাগ তলস্নাশি করে পলিথিনে মোড়ানো দুইটি মাথার খুলিসহ মানবদেহের বিভিন্ন হাড়গোড় জব্দ করে পুলিশ। থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, 'কঙ্কাল চোর চক্রের সদস্যরা জেলা-উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে। তারা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এসব কঙ্কাল নেপাল ও ভারতের মেডিকেল শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও চিকিৎসকদের কাছে বিক্রি করে। এ ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা হয়েছে।