আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারের মানববন্ধন কর্মসূচি
প্রকাশ | ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ বিসিএস (মৎস্য ক্যাডার)সদস্যদের একটি মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ মৎস্য ভবনের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারের আহ্বায়ক মো. মশিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারের মৎস্য অধিদপ্তরে কর্মরত সকল ক্যাডার অফিসারগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও মৎস্য ক্যাডারের বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত বিসিএস (মৎস্য) ক্যাডারের অফিসারগণ তাঁদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অন্যান্য ২৫ ক্যাডারের সঙ্গে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন কর্তৃক উপসচিব পুলে প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রেখে অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস হতে আলাদা করার সুপারিশের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় বক্তারা বলেন, কমিশনের এ সকল সিদ্ধান্তের সুযোগ নিয়ে একটি গ্রম্নপ ইতোমধ্যে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য প্রচার শুরু করেছে। সিনিয়র সার্ভিস গুল (বা উপসচিব পুল) এর পদসমূহ কোনো নির্দিষ্ট ক্যাডারের নয়। ঝবৎারপব অপঃ ১৯৭৫ অনুযায়ী মেধার ভিত্তিতে এ সকল পদে নিয়োগের কথা থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে কোটা পদ্ধতি চালু রেখেছে প্রশাসন ক্যাডার। এছাড়া ২০১৮ এর নির্বাচনের পর ঝবৎারপব অপঃ ১৯৭৫ রহিত করে ২০২৪ এর নির্বাচনের পর এ সকল পদ নিজেদের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করেছে প্রশাসন ক্যাডার, যা মেধাভিত্তিক জনকল্যাণমূলক রাষ্ট্রগঠনে অন্তরায়। বক্তারা আরো বলেন, সিভিল সার্ভিসের কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ হতে কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি করা হয়েছে অর্থাৎ প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে স্ব-স্ব ক্যাডারের অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তারা পদায়িত হবেন। বর্তমানে প্রতিটি সেক্টরে নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা যারা সেই সেক্টর সম্পর্কে অনভিজ্ঞ ও অদক্ষ। ফলে সেক্টরগুলো কাঙ্িক্ষত জনসেবা নিশ্চিত করতে পারছে না। তাছাড়া সকল সেক্টরে একটি ক্যাডারের নিয়ন্ত্রণ থাকায় সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিক সিন্ডিকেট, অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও বৈষম্য রাষ্ট্রের সকল সেক্টরকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গেছে। দেশের মানুষ প্রকৃত জনসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জনবান্ধব সরকারের পরিবর্তে দেশে বিভিন্ন সময়ে গড়ে উঠেছে জনবিচ্ছিন্ন স্বৈরাচারী সরকার। মিশন কর্তৃক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস হতে আলাদা করতে চাওয়া জনমনে নতুন সন্দেহের উদ্রেক করেছে। কমিশনের এ সকল সিদ্ধান্ত সিভিল সার্ভিসের মধ্যে চরম বিশৃংখলা সৃষ্টি করতে পারে।