এবার 'উচ্চ স্বরে হইচই' করায় সারদায় প্রশিক্ষণরত ৮ এসআইকে শোকজ
প্রকাশ | ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
রাজশাহী অফিস
নির্দেশনা না মেনে প্রশিক্ষণ মাঠে উচ্চ স্বরে হইচই করার অভিযোগে রাজশাহীর চারঘাটের সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে প্রশিক্ষণরত ৮ এসআইকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। গত রোববার সন্ধ্যায় তাদের হাতে শোকজের চিঠি দেওয়া হয়, যাতে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে শোকজের ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হলে তাদের অব্যাহতি দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়।
সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞার পক্ষে নোটিশে স্বাক্ষর করেন একাডেমির পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) তানভীর সালেহীন ইমন।
শোকজ করা চিঠিতে বলা হয়েছে, 'গত ২৭ ডিসেম্বর বৈকালিক কার্যক্রমে নিয়মিত সাপ্তাহিক গেইম প্যারেড ছিল। ফল-ইনের সময় অ্যালাইনমেন্টে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে প্রশিক্ষণার্থীদের গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য প্রত্যেক কোম্পানির কমান্ডার ও আরআই উপস্থিত হন। প্রশিক্ষণার্থীদের মাইকে বলা হয়, আজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্যারেড মাঠ পরিদর্শনে আসবেন। প্রশিক্ষণার্থীদের সুশৃঙ্খলভাবে গেইম প্যারেড করতে বলা হয়। এ নির্দেশনা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উচ্চ স্বরে হইচই করতে থাকেন এবং উসকানিমূলক কথাবার্তায় অন্যান্য ক্যাডেট উত্তেজিত হয়ে হইচই করেন। গেইম প্যারেড চালু হওয়ার সময় উসকানিমূলক কথাবার্তায় অন্য প্রশিক্ষণার্থী ক্যাডেট কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করে দৌড়ে না গিয়ে হেঁটে চলতে থাকে এবং শান্ত না হয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করে।'
এ ব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে কল করলে সারদা পুলিশ একাডেমির অধ্যক্ষ মাসুদুর রহমান ভুঞা ও পুলিশ সুপার (বেসিক ট্রেনিং-২) তানভীর সালেহীন ইমনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তবে, শোকজ পাওয়া এক এসআই জানান, ১২ মাসের জায়গায় তারা ১৪ মাস ধরে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। নিয়মানুযায়ী চলতি বছরের ৪ নভেম্বর প্রশিক্ষণ শেষ করে বিভিন্ন পুলিশ ইউনিটে যোগদানের কথা ছিল। তাদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
৪০তম ক্যাডেট এসআই ব্যাচে প্রশিক্ষণের জন্য মোট ৮২৩ জন এসআই ছিলেন। তারা গত বছরের ৪ নভেম্বর থেকে সারদায় বনিয়াদি প্রশিক্ষণ শুরু করেন। মাঠে ও ক্লাসে বিশৃঙ্খলার অভিযোগ তুলে তিন ধাপে ৩১৩ জন এসআইকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত ২১ অক্টোবর ২৫২ জন, ৪ নভেম্বর ৫৮ জন এবং সর্বশেষ ১৮ নভেম্বর তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এবার চতুর্থ ধাপে প্রায় একই ধরনের অভিযোগে আরও আটজনকে শোকজ করা হলো।
এছাড়াও গত ১৫ ডিসেম্বর একই ধরণের অপরাধে প্রশিক্ষণরত বিসিএসের ৪০তম ব্যাচের ২৫ জন শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারকে (এএসপি) শোকজ করা হয়।