'মানবপাচারকারী'সহ তিন জেলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
তিন জেলায় 'মানবপাচারকারী'সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে মানবপাচারকারী, জেলার বাঁশখালীতে পৃথক অভিযানে ইয়াবাসহ দুইজন, খুলনার কয়রায় ১৮ মামলার আসামি ও নোয়াখালীর পরশুরামে গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আঞ্চলিক অফিস ও প্রতিনিধিদেও পাঠানো খবওে বিস্তারিত- চট্টগ্রাম বু্যরো জানায়, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইফতেখারুল আলম রনি নামে একজন 'মানবপাচারকারী'কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-১৪৭ ফ্লাইটে দুবাই যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। গত শনিবার রাত ৮টায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তথ্যটি নিশ্চিত করেন বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল। তিনি বলেন, এ যাত্রী এনএসআইয়ের টপলিস্টেড ক্রিমিনাল। রনি ফেনী জেলার ফাজিলপুর গ্রামের নুরের জামানের ছেলে। তার বিরুদ্ধে কুমিলস্নার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় এবং জেলা ও দায়রা জজ আদালতের মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইবুনাল নম্বর ২-এ দুটি মামলা রয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রনিকে সিএমপির পতেঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে বিশেষ অভিযানে ১৫শ' ইয়াবাসহ মাহবুবুর রহিম প্রকাশ সোনা মিয়া (৪১) ও দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. রমিজকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাঁশখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কামরুল হাসান কায়কোবাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রোববার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের বাঁশখালী প্রধানসড়কের ফুটখালী ব্রিজের উপর অভিযান পরিচালনা করে ইয়াবাসহ হাতেনাতে মাহাবুবুর রহিম প্রকাশ সোনা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বাড়ি কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধিন হোয়াইক্যংয়ের মধ্যম হ্নীলায়। এদিকে পৃথক আরেক অভিযানে একই সময়ে উপজেলার কাথরিয়া ইউনিয়নের অলিশাহ মাজারের সামনে থেকে দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রমিজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই আসামি কাথরিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত কালা আমিনের ছেলে। বাঁশখালী থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, 'পৃথক দুই অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের একটি টিম ১৫শ' ইয়াবাসহ একজনকে এবং দুই বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে। আসামিদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি জানান, খুলনার কয়রা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে বহুল আলোচিত সুন্দরবনের হরিণ শিকারী চক্রের হোতা ১৮ মামলার আসামি আসাদুল গাজীকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার আসাদুল গাজী উপজেলার দক্ষিন বেদকাশী ইউনিয়নের জোড়শিং গ্রামের রুহুল আমীন গাজীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ছাড়াও আদালতে এফসিআর (বন আইনে)১৩টি মামলা এবং কয়রা থানায় বন্যপ্রানী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে ৫টি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে। থানা সুত্রে জানা গেছে, সুন্দরবনের হরিণ শিকারী চক্রের মুল হোতা বহু মামলার আসামি আসাদুল গাজী আংটিহারা এলাকায় অবস্থান করছে, এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ গত শনিবার রাতে আংটিহারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। কয়রা থানার ওসি জিএম ইমদাদুল হক বলেন, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আদালতে পাঠানো হবে। পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি জানান, ফেনীর পরশুরামে আটশ গ্রাম গাঁজাসহ এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে পরশুরাম থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করে। ইদ্রিস মিয়া (৬১) উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের ডিএম সাহেবনগর গ্রামের মৃত দুলাল মিয়ার ছেলে। পরশুরাম থানার ওসি মো. নুরুল হাকিম বলেন, পুলিশের একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ৮০০ গ্রাম গাঁজাসহ তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।