রাবির পাঁচ হলে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

প্রকাশ | ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

রাজশাহী অফিস
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পাঁচটি হলে পবিত্র কোরআনের পোড়া কপি পাওয়া গেছে। রোববার সকালে পোড়া কোরআন শরীফ পাওয়ার পর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মোহা. ফরিদ উদ্দিন খানকে আহবায়ক করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পবিত্র কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসে কোরআন শরীফ পোড়ানোর ঘটনায় দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডাকেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সালেহ্‌ হাসান নকীব। তিনি বলেন, এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক তাদের শনাক্ত করতে পারলে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ আমীর আলী হলের মাঝে মুক্তমঞ্চে, শহীদ হবিবুর রহমান, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের মসজিদের তাকে এবং মতিহার ও মাদার বখ্‌শ হলের ছাদে পোড়া কোরআন শরিফ পাওয়া যায়। এ ছাড়া জিয়াউর রহমান হলে ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির দলীয় প্রতীক (পদ্ম ফুল) আঁকা দেখা যায়। খবর পেয়ে পুলিশসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্তাকর্তারা ওই সব জায়গা পরিদর্শন করেন। সংবাদ সম্মেলনে সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) ফরিদ উদ্দিন খান, সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। পবীত্র কোরআন পোড়ানোর প্রতিবাদে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সিনেট ভবনের সামনে সমাবেশ করে। এদিকে, পাঁচটি আবাসিক হলে পবিত্র কোরআন পোড়ানোর ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেকোনো সময় পরিচয়পত্র দেখতে চাইতে পারে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক আখতার হোসেন মজুমদার। তিনি বলেন, আইন-শৃঙ্খলার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও শিক্ষার সার্বিক পরিবেশ সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে রাবি ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের বিনা অনুমতিতে প্রবেশ ও অবস্থান নিষিদ্ধ করে দেওয়া পূর্বের নিষেধাজ্ঞা যথারীতি বহাল আছে।