বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবকে কেন্দ্রের শোকজ
প্রকাশ | ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
বরিশাল অফিস
নেতাকর্মীদের নিয়ে শোডাউন দেওয়ায় অভিযোগে বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদারকে শোকজ করা হয়েছে। বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা শোকজ নোটিশ সোমবার মহানগর বিএনপির দুই নেতার কাছে পৌঁছেছে। নোটিশ প্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় দপ্তরে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে গত ১১ জানুয়ারি দুপুরের দিকে বরিশালে ফেরেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার। এ সময় বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের নগরীর প্রবেশদ্বার গড়িয়ারপাড় থেকে সদর রোড দলীয় কার্যালয়ের সামনে পর্যন্ত বিশাল মটরসাইকেল শোডাউন করেন তারা। ওই শোডাউনে দুই নেতাকে বহনকারী সাদা রঙের প্রাইভেটকার এবং কালো রঙের মাইক্রোবাসের পেছনে ছাত্রদল, যুবদল, শ্রমিকদলসহ বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অসংখ্য মোটরসাইকেল নিয়ে অংশ নেন। এর ফলে নগরীর ব্যস্ততম নগরীর নথুলস্নাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড, সিএন্ডবি রোড, চৌমাথা, বটতলা এবং সদর রোড পর্যন্ত দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। পরে সদর রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক ও সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার। এ ঘটনাটি কেন্দ্রেীয নেতাদের নজরে আসলে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তাদের কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার বলেন, নোটিশে আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে আমরা বরিশাল বিমানবন্দর থেকে শোডাউন করে সদর রোড দলীয় কার্যালয়ে গিয়েছি। কিন্তু আমরা কোনো শোডাউন করিনি। আমাদের আসার খবরে নেতাকর্মীরা সেখানে ভিড় করেছিলেন। তারপরও কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে যথাসময়ে শোকজের জবাব দেব।
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান খান ফারুক বলেন, শোকজ নোটিশ পেয়েছি। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে শোডাউনের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা সঠিক নয়। মূলত আমাদের ঢাকা থেকে ফেরার খবরে উৎসুক নেতাকর্মীরা স্বপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসেন। আমরা দু'জন পৃথক গাড়িতে ছিলাম।