আটক যুবলীগ-ছাত্রলীগের দুই নেতাকে ছাড়াতে জামায়াতের তদবির!
প্রকাশ | ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
স্টাফ রিপোর্টার, টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আটক মানিক বাবু ও নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইলকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়ানোর জন্য স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের দিনভর তদবিরে শহরে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে। গত সোমবার দিনগত রাতে শহরের বৈল্যা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার দিনভর জামায়াত নেতাদের তদবির সত্বেও এদিন বিকালে তাদের একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
সরেজমিনে মঙ্গলবার জামায়াতে ইসলামীর টাঙ্গাইল জেলা ও শহর শাখার নেতাকর্মীদের সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদের রুমে বসে থাকতে দেখা যায়। তারা জানান, তাদের দুইজন কর্মীকে পুলিশ আটক করেছে। তাদের ছাড়াতেই থানায় এসেছেন। অতীতে তারা আওয়ামী যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন এটা সত্য, কিন্তু এখন তারা তাদের দলের কর্মী।
জানা যায়, বিগত সময়ে মানিক বাবু ও ইসমাইল দুজনে টাঙ্গাইল সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, শহর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান ইমুর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এছাড়া মানিক বাবু ২০১৯ সালের টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী যুবলীগের অনুমোদিত আহ্বায়ক কমিটির তালিকায় ২০ নম্বর সদস্য হিসেবে রয়েছেন। টাঙ্গাইল পৌরসভা শাখা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, একজন এক দল করতেই পারে। কিন্তু ২০১৯ সালে আটকরা তাদের দলের সহযোগী কর্মী হয়। অন্য দলের কর্মী হলে তারা ছাড়াতে থানায় অসবেন কেন?
টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম বলেন, 'যে দুইজন আটক হয়েছে তারা আমাদের কর্মী, তারা এক সময় আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন। তবে এখন তারা আমাদের দলের কর্মী।'
টাঙ্গাইল জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আহসান হাবীব মাসুদ বলেন, 'দীর্ঘদিন আগে আটকরা আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন। এরপর থেকে তারা আমাদের দলের হয়ে কাজ করছেন ও দলের সক্রিয় সদস্য। জুলাই বিপস্নবের সক্রিয় কর্মী হিসেবে তারা দায়িত্ব পালন করেছেন।'
টাঙ্গাইল সদর থানার ওসি তানবীর আহমেদ জানান, জামায়াতের লোকজন দাবি করছে তাদের কর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তারা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। এছাড়াও মানিক বাবু নিজেকে ছাত্র সমন্বয়ক হিসেবে দাবি করছেন। যাচাই-বাছাই শেষে তাদের দুইজনকে গত বছরের ১৩ নভেম্বর দায়েরকৃত মামলার(নং-১৮) সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে আদালতে পাঠানো হয়েছে।