চাটখিলে নিখোঁজের চারদিন পর লাশ উদ্ধার

সন্দ্বীপে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা

প্রকাশ | ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে বৃদ্ধকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে নোয়াখালীর চাটখিলে নিখোঁজের চারদিন পর একজন বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিিিনধদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি জানান, সন্দ্বীপে গাছুয়া ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের আবদুলস্নাহ মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে (৬২) পাওনা টাকার জেরে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার গাছুয়া বাউরিয়া সীমান্ত মার্কেটে দাদন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দাদন এলাকায় সুমন জাহাঙ্গীর বাড়িতে আসলে ঘরে থেকে ডেকে 'টাকা কেন দেস না' এ কথা বলে ৪-৫ মিলে প্রথমে মোটর সাইকেলে তোলার চেষ্টা করেন। জাহাঙ্গীর মোটর সাইকেলে না উঠলে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারতে থাকলে মাথা ফেটে জাহাঙ্গীর মাটিতেই লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক জাহাঙ্গীরকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নয়ন আলী (৩২) নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। গাছুয়া ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক আলাউদ্দিন বলেন, নিহত জাহাঙ্গীর গাছুয়া ৮নং ওয়ার্ডের বিএনপির কর্মী ছিলেন। সন্দ্বীপ থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, সন্ত্রাসী ও খুনিদের ধরতে পুলিশ তৎপর আছে এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা হলে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হবে। চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি জানান, নোয়াখালী জেলার চাটখিলে নিখোঁজের ৪দিন পর কামিল মাদ্রাসার অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক সিদ্দিক উল্যাহ্‌র (৭৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পৌর শহরের সুন্দরপুর লদের বাড়ির একটি পুকুরে তার লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ মঙ্গলবার লাশ উদ্ধার করে। নিহত সিদ্দিক উল্যাহর বাড়ি পৌর শহরের ফতেহপুর সিদ্দিক উল্যাহ মাস্টার বাড়ি। তার বড় ছেলে শহিদুলস্নাহ জানান, গত শুক্রবার বিকেল থেকে নিখোঁজ হন তার বাবা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ এলাকায় মাইকিং করেও তার সন্ধান পাননি। লাশ উদ্ধারের পর তিনি তার বাবার মাথায় কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন দেখে বলেন এটা নিশ্চিত হত্যাকান্ড। তিনি এই হত্যার বিচার দাবি করেন। চাটখিল থানার ওসি মোহাম্মদ ফিরোজ উদ্দিন চৌধুরী জানান, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এখনো মামলা হয়নি। তবে আইনগত প্রক্রিয়া চলছে।