জামালপুরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে পৌর প্রশাসন। অন্যদিকে, জেলার বকশীগঞ্জে ড্রেজার মেশিন গুড়িয়ে দিয়েছেন এসিল্যান্ড। এদিকে, নরসিংদীর শিবপুরে গভীর রাতে মোবাইল কোর্টের অভিযান চালিয়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ইউএনও। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত-
জামালপুর প্রতিনিধি জানান, জামালপুরে যত্রতত্র অবৈধ বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনব্যাপী জামালপুর শহরে পৌরসভার উদ্যোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়।
সকালে শহরের ফৌজদারী মোড় থেকে জামালপুর পৌর কর্তৃপক্ষ এই অভিযান শুরু করে। শহরের বকুলতলা, সকাল বাজার, তমালতলা, দয়াময়ী মোড়, গেইটপাড়সহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে স্থাপিত অবৈধ বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও স্থাপনা অপসারণ করা হয়। জামালপুর পৌরসভার সচিব হাফিজুর রহমান জানান, অবৈধ বিলবোর্ড, ফেস্টুন ও স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নিয়মিতভাবেই এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। পৌরবাসী যাতে নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারে ও শহরের সৌন্দর্য্য রক্ষায় এ কার্যক্রম চলছে। ধারবাহিকভাবে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এ সময় পৌরসভার অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত ছিল।
বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি জানান, জামালপুরের বকশীগঞ্জে সরকারি বিল থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আসমা উল হুসনা মঙ্গলবার বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া সিংগিডোবা বিলে অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, কয়েকদিন থেকে আলীরপাড়া সিংগিডোবা বিলে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে একটি চক্র বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে করে প্রাকৃতিক পরিবেশ বিনষ্ট হওয়াসহ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে এসিল্যান্ড আসমা উল হুসনা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় ড্রেজার মালিক না থাকায় যাবতীয় যন্ত্রাংশ ভেঙে দেওয়া হয়।
শিবপুর (নরসিংদী) প্রতিনিধি জানান, নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গভীর রাতে কৃষি জমি থেকে মাটি কেটে একাধিক ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি নিয়ে যাচ্ছিল একদল মাটি খেকো। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করেন শিবপুর ইউএনও ফারজানা ইয়াছমিন। ঘটনাটি ঘটেছে গত সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২ টায়। এ সময় মাটি কাটার সঙ্গে সম্পৃক্ত আব্দুর রহিম (৫৭), পিতা. আনোয়ার আলি, গ্রাম. দোপাথর ও ওয়াহিদ মিয়া (২৩) গ্রাম: বাঘমারা এবং জিহাদ হোসেনকে (২৪) ঘটনাস্থল থেকে আটক ও মাটি ভর্তি ৪টি ড্রামট্রাক জব্দ করা হয়। পরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন ইউএনও। এরমধ্যে আব্দুর রহিমকে ২ লাখ, ওয়াহিদ মিয়াকে ৫০ হাজার ও জিহাদ হোসেনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানে পুলিশ ফোর্স নিয়ে সহযোগিতা করেন শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আবজাল হোসেন।
ইউএনও ফারজানা ইয়াছমিন বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বরমাটি বা টপসয়েল কাটা যা বালুমহাল ও মাটিব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ ( সংশোধিত ২০২৩) অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। নরসিংদী জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ হোসেন চৌধুরীর তত্বাবধানে ও নির্দেশনায় শিবপুরে এই মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।