ইবিতে বাস ভাঙচুরের জেরে সমন্বয়কদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের হাতাহাতি

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটকের সামনে শিক্ষার্থীদের বাস ভাঙচুর ঠেকাতে গিয়ে সমন্বয়কদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে এসবি পরিবহনের সুপারভাইজারের খারাপ ব্যবহারের অভিযোগে বাস ভাঙচুর করেন সহপাঠীরা। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা ভাঙচুরে বাঁধা দিলে ভাঙচুরকারীরা তাদের উপর চড়াও হয় এবং হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বুধবার রাত ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে দেড়টার দিকে ভাঙচুর করা ওই বাস ছেড়ে দেওয়া হয়। জানা যায়, জিওগ্রাফি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষার্থী কুষ্টিয়া শহরের কাউন্টার থেকে কথা বলে এসবি পরিবহনের বাসে ওঠে। পরে তাদের পেছনে কাউন্টারে কথা বলা ব্যতীত বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫ জনের মতো শিক্ষার্থীও বাসে ওঠে। তারা বাসে ওঠার প্রায় দশ মিনিট পর বাসের সুপারভাইজার কাউন্টারে কথা বলা ১৩ জনের বাইরে অন্য শিক্ষার্থীদের নেমে যেতে বলেন। পরে এ নিয়ে সুপারভাইজার ও শিক্ষার্থীদের বাকবিতন্ডা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাদের অন্য বন্ধুদের খবর দিলে তারা প্রধান ফটকের সামনে থেকে বাসটি আটক করে। বাস আটক করার সময় মার্কেটিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মোস্তাফিজুর রহমান আহত হয়। আহত শিক্ষার্থী ও তার বন্ধুদের দাবি বাস আটক করার সময় অজ্ঞাত ব্যক্তির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার পা কেটেছে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বাস আটক করার সময় মোস্তাফিজ বাসের গাড়ির দরজার গস্নাসে লাথি দেওয়ার ফলে তার পা কেটে যায়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, হঠাৎ করে একদল শিক্ষার্থী এসে এলোপাতাড়ি বাসে ইট ছুঁড়তে থাকে। এসময় আমরা বাঁধা দিলে তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। পরে নিরাপত্তাকর্মীরা পরিবেশ শান্ত করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহিনুজ্জামান বলেন, 'ঘটনা জানার পর পরই আমরা ঘটনাস্থলে আসি। কে বা কারা বাস ভাংচুর করেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'