সরকারি হাসপাতালে জনবল সংকট
পোরশায় দেড়লাখ মানুষের জন্য একজন চিকিৎসক
প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি
নওগাঁর পোরশা উপজেলা। সরকারি হিসেব অনুযায়ী এ উপজেলার জনসংখ্যা ১ লক্ষ ৪২ হাজার ৫৩৫জন। সরকারি হাসপাতাল একটি। হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত মাত্র একজন চিকিৎসক। হাসপাতালটিতে কাগজপত্রে প্রতিনিয়ত ১০জন চিকিৎসক চিকিৎসা সেবায় থাকার কথা থাকলেও প্রায় দেড়লাখ মানুষকে চিকিৎসা দিচ্ছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। প্রতিদিন প্রায় ৪ শতাধিক রোগী আসেন চিকিৎসা নিতে। আউটডোরেই প্রতিদিন চিকিৎসা দেওয়া হয় প্রায় ২০০জন। এছাড়াও জরুরী বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া প্রায় ৮০ থেকে ১০০জন। একারনে সুবিধামত চিকিৎসা পাচ্ছেন না মানুষ। হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসা সেবায় থাকা ডাক্তার। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক না থাকায় এক্স-রে মেশিনসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে সঠিক স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত স্থানীয় জনসাধারণ।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ৫০শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য হাসপাতালে চিকিৎসকের পদ রয়েছে ১০টি, এর মধ্যে বগুড়ায় আরডিএতে প্রশিক্ষণে রয়েছেন একজন, পত্নীতলা ম্যাট্স এ প্রেষণে একজন ডাক্তার। পদশূন্য রয়েছে ৭টি। এছাড়াও পদশূন্য রয়েছে মেডিসিন বিভাগের জুনিয়র কনসালটেন্ট একজন, চক্ষু বিভাগের একজন, অর্থোপেডিক্স বিভাগের একজন, কার্ডিওলজি বিভাগের একজন, ইএনটি বিভাগের একজন, চর্ম ও যৌন বিভাগের একজন, আবাসিক মেডিকেল অফিসার একজন, আয়ুর্বেদিক মেডিকেল অফিসার একজন।
অন্যদিকে নার্সিং সুপারভাইজার একজন, হেল্থ এডুকেটর একজন, কম্পিউটার অপারেটর একজন, ক্যাশিয়ার একজন, অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর একজন, ডেন্টাল মেডিকেল টেকনোলজিস্ট একজন ও ফিজিওথেরাপি একজন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার দুইজন, ভান্ডার রক্ষক একজন, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ৪জন, স্বাস্থ্য সহকারী ৭জন ও অফিস সহায়ক ৪জনের পদ শূন্য রয়েছে। উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিরও বেহাল অবস্থা। এগুলোর মধ্যে নোনাহার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও শাহ্ পোরশা উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন করে মেডিকেল অফিসারের পদ শূন্য রয়েছে। নিতপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ছাওড় ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, গাঙ্গুরিয়া ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং ঘাটনগর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন করে মেডিকেল অফিসার ছাড়াও নিতপুর ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের একটি পদ শূন্য রয়েছে।
হাসপাতালটিতে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত থাকা চিকিৎসক ডা. আরিফ হোসেন জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরে বৃহৎ এই জনগণের চিকিৎসা সেবা দিয়ে আসছেন। তাকে প্রতিনিয়িত চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজির আহমেদ জানান, তারা চিকিৎসক এবং অন্যান্য শূন্যপদ পূরণে লোকবল চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত জানিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ শিগগিরই ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি আশা করছেন।