তিন জেলায় শিশুসহ ৩ মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
তিন জেলায় শিশুসহ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার আশুলিয়ায় ডোবা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পানিতে পড়ে শিশুর ও কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে ইজিবাইক চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। প্রতিনিদিরে পাঠানো খবরে বিস্তারিত- আশুলিয়া (ঢাকা) প্রতিনিধি জানান, শিল্পাঞ্চল সাভারের আশুলিয়ার বাইপাইলের টিএসসি পাম্পের পাশে ডোবা থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধ গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার নবীনগর চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল টিএসসি পাম্প ও মাস্টার পস্নাজার পাশের ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শী বিলস্নাল জানান, সকাল সাড়ে ৬টায় বোতল টোকাতে এসে দেখেন একটি লাশ ভেসে আছে। পরে পাশের মাস্টার পস্নাজার সিকিউরিটিকে জানান। তখন সিকিউরিটি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে পুলিশকে জানাতে বলেন। পরে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে অজ্ঞাত ব্যক্তির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। আশুলিয়ার থানার ওসি বলেন, ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা করে। ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে টিউবওয়েলের ড্রেনের পানিতে পড়ে শাহীন (২) নামের এক শিশুর মৃতু্য হয়েছে। বুধবার সকালে পৌরসভাধীন ৯নং ওয়ার্ডের সখিনাপাড়া এলাকায় এ মৃতু্যর ঘটনা ঘটেছে। শিশু শাহীন ওই এলাকার আইয়ুব আলীর ছেলে। জানা যায়, সকাল আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির লোকজনের অজান্তে শিশুটি টিউবওয়েলের পানি নিষ্কাশনের গর্তে পড়ে যায়। খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে শিশুটিকে পানির গর্তে পড়ে থাকতে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপেস্নক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘোড়াঘাট থানার নাজমুল হক জানান, এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি অপমৃতু্যর মামলা হয়েছে। ঈদগাঁও (কক্সবাজার) প্রতিনিধি জানান, কক্সবাজারের খুরুশ্‌কুল ব্রিজের পাশের নালাতে পাওয়া গেছে আবুল কালাম (৪০) নামের এক ইজিবাইক চালকের মরদেহ। বুধবার সকালে পথচারীরা এই মরদেহ দেখতে পান। কালাম কক্সবাজার সদরের খুরুশ্‌কুল ইউনিয়নের ফকির পাড়ার বাসিন্দা। তিনি কক্সবাজারে শহর ও খুরুশ্‌কুলে ভাড়া করা ইজিবাইক চালাতেন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসমাঈল সোহেল জানান, সকালে হাঁটার জন্য বের হলে খুরুশ্‌কুল বেইলি ব্রিজের উত্তর পাশের সড়কের পশ্চিম পাশের নালায় মৃতদেহটি দেখা যায়। চিনতে পেরে তার বাড়িতে খবর দেন। স্বজনেরা জানিয়েছেন, ইজিবাইক চালিয়ে প্রায়ই রাত ১০টার মধ্যে বাড়িতে চলে যান আবুল কালাম। কিন্তু গত মঙ্গলবার ফেরেননি। রাতেই বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও পায়নি। কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইলিয়াস খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ও ওসিও ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছেন। হত্যা সম্পর্কে কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। আলামত সংগ্রহের জন্য সিআইডি দল কাজ করছে।