১৩ স্স্নুইচ গেইটের ১১টি বিকল
প্রকাশ | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০
ধর্মপাশা-মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার চারটি হাওরে থাকা ১৩টি স্স্নুইচ গেইটের মধ্যে ১১টি স্স্নুইচ গেইট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। এ অবস্থায় এই দুটি উপজেলার তিনটি হাওড়ের ৪ হাজার ৪৮৯ হেক্টর আবাদকৃত বোরো ফসল হুমকির মুখে রয়েছে। উজানের ঢল হলে স্স্নুইচ গেইটের পাটাতনের ফাঁক দিয়ে হাওরে পানি ঢুকে বোরো ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দ্রুত এসব স্স্নুইচ গেইটগুলো মেরামতের দাবি জানিয়েছেন হাওরপাড়ের কৃষকরা।
\হধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের বোরো মৌসুমে ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার ৮২টি ছোট বড় হাওরে ৩১হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে। এই দুটি উপজেলার ৮২টি হাওরের মধ্যে ৯টি হাওর সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীন। হাওরগুলো হচ্ছে- চন্দ্র সোনার থাল, গুরমা, গুরমার বর্ধিতাংশ, ঘোড়াডোবা, রুই বিল, সোনামড়ল, কাইলানী, জয়ধনা ও ধানকুনিয়া। এই নয়টি হাওরের মধ্যে চন্দ্র সোনার থাল হাওরে ৩টি, সোনামড়ল হাওরে ৪টি, রুই বিল হাওরে ২টি এবং গুরমা হাওরে ৪টি স্স্নুইচ গেইট রয়েছে। এখানকার ১৩টি স্স্নুইচ গেইটের মধ্যে চন্দ্র সোনার থাল হাওরের ৩টি, সোনামড়ল হাওরে ৪টি ও গুরমা হাওরে চারটি স্স্নুইচ গেইট যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পড়ে আছে। এই তিনটি হাওরের আওতায় চার হাজার ৪৮৯ হেক্টর বোরো জমি রয়েছে। এছাড়া এই দুটি উপজেলার নয়টি হাওরের বোরো ফসলরক্ষা বাঁধে ১২০টি প্রকল্প কাজ রয়েছে।
এসব প্রকল্প কাজের বিপরীতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২৬ কোটি ৪৩ লাখ চার হাজার টাকা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন কৃষক বলেন, এই দুই উপজেলার স্স্নুইচ গেইটগুলো বেশ কয়েকবছর ধরে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করা হচ্ছে। ফলে মেরামত করার মাস দুয়েক যেতে না যেতেই এগুলো বিকল হয়ে পড়ে। এসব মেরামতের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জনি রায় ও মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উজ্জ্বল রায় বলেন, বিকল থাকা স্স্নুইচ গেইটগুলো দ্রুত সময়ের মধ্যে মেরামত করার জন্য বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তারা কথা বলবেন। সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার বলেন, বিকল থাকা স্স্নুইচ গেইটগুলো মেরামতের জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।