ফাঁসির ৯ জনই খালাস :ঈশ্বরদী উপজেলা বিএনপির সংবর্ধনা

প্রকাশ | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ঈশ্বরদীতে শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা মামলায় দেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে খালাস পাওয়া ৯ জন ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্তকে গণ-সংবর্ধনা দিয়েছে উপজেলা বিএনপি। গত বুধবার কাশেমপুর কারাগার থেকে সর্বশেষ মুক্তি পেয়েছেন ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রদল নেতা মাহবুবুর রহমান পলাশ। মুক্তির পর রাত সাড়ে দশটায় ঈশ্বরদীতে পৌঁছালে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে তাকে ফুলেল মালা দিয়ে স্বাগত জানান ঈশ্বরদী পৌর-উপজেলা বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর আগে গত ১১ ফেব্রম্নয়ারি বিকেলে পাবনার ঈশ্বরদী টেম্পু স্ট্যান্ডে শেখ হাসিনা হত্যা চেষ্টা মামলায় ফাঁসির রায় থেকে খালাস পাওয়া বিএনপির ৯ নেতাকে দেওয়া গণ-সংবর্ধনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এবং পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমার হাবিব। সদ্য কারামুক্ত ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও মেয়র মো. মোখলেছুর রহমান বাবলু স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, 'ঈশ্বরদীতে আর কোন গ্রম্নপিং নেই। দলের বিরুদ্ধে হওয়া গভীর ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে বিএনপির নেতাকর্মীদের মান অভিমান ভুলে ঐক্যবদ্ধভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। কারণ বিএনপি না থাকলে দলের নেতাকর্মীদের কোন দাম নেই।' সদ্য কারামুক্ত ঈশ্বরদী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া পিন্টু বলেন, 'বিএনপির রাজনীতি নিয়ে অতিতে অনেক ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। তাতে সুযোগ নিয়েছে অন্যরা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি আমরা বিএনপি। তাই আর কোন গ্রম্নপিং নয়। এখন থেকে আমরা সবাই ভাই ভাই।' সদ্য কারামুক্ত উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম ভিপি শাহিন বলেন, 'আমরা আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। ৯০ দশকে ঈশ্বরদীতে বিএনপি যেমন সুসংগঠিত ও শক্তিশালী ছিল এখন আমরা সেইরুপ শক্তিশালি। তাই বিএনপিকে নিয়ে করা সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহতের বীজ আমরা ঈশ্বরদী থেকেই বপন করব।' উলেস্নখ্য, ১৯৯৪ সালে ২৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ট্রেন বহরে দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চলে যাওয়ার পথে ঈশ্বরদী জংশন স্টেশনে তাকে হত্যার উদ্দেশে হামলা চালানো হয়। এ মামলায় গত ২০১৯ সালের ৩ জুলাই স্থানীয় বিএনপির শীর্ষ ৪৭ নেতাকর্মীকে দন্ড দেন আদালত। এর মধ্যে একই পরিবারের তিনভাইসহ ৯জনকে ফাঁসি, ২৫ জনকে যাবজ্জীবন ও ১৩ জনকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। এরপর থেকে ৪৭ নেতাকর্মী কারাগারে বন্দি ছিলেন।