নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশ | ১২ জুন ২০১৯, ০০:০০

ধর্মপাশা (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার গ্রামীণ সড়কে ৬টি ব্রিজ নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, অনিয়মের মাধ্যমে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এই ৬টি ব্রিজের দরপত্র ৬টি পৃথক প্রতিষ্ঠানকে দেন। কিন্তু নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে নিম্নমানের বালু ও পাথর দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। এই ব্রিজগুলো হলো উপজেলার বারইকান্দা, বাদেরহরিপুর, বাবপুর, রাধানগর, খয়েরদিরচর ও চিকার খাল ব্রিজ। এর মধ্যে বাদেরহরিপুর, রাধানগর ও খয়েরদিরচর ব্রিজের কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে এবং বাইরকান্দা, বাবুপুর ও চিকারখাল ব্রিজের কাজ এখনো চলমান রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে গ্রামীণ সংযোগ রাস্তায় ব্রিজ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। গত ফেব্রম্নয়ারি মাসে এই ৬টি ব্রিজের দরপত্র আহ্বান করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, খয়েরদিরচর খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের কাজ চলছে বালি মিশ্রিত পাথর দিয়ে। নিচে বালি রেখে উপরে পাথর দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত শ্রমিক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এদিকে বলিস্ন ব্যবহার করে বেইজ স্থাপন করার কথা থাকলেও বলিস্ন ব্যবহার করা হয়নি। কাদামাটির উপর সিসি ঢালাই করে ব্রিজের বেইজ বসানো হয়েছে। এ ছাড়া ব্রিজের দুই পাশে সংযোগ রাস্তা পর্যন্ত প্যালাসাইটিং না করে মাটি ভরাট করে কাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে। বাইরকান্দা খালের উপর ৩৬ ফুট দৈর্ঘ্যে ২৯ লাখ ১৪ হাজার টাকায়, হরিপুর খালের উপর ৩২ ফুট দৈর্ঘ্য ২৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকায়, বাবুপুর পশ্চিমপাড়া কুরের খালের উপর ৩২ ফুট দৈর্ঘ্যে ২৫ লাখ টাকায়, রাধানগর খালের উপর ৪০ ফুট দৈর্ঘ্যে ৩২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা বরাদ্দে ব্রিজ নির্মাণের জন্য টেন্ডার দেয়া হয়। অথচ প্রতিটি ব্রিজের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। বলিস্ন ফাইলিং করা হয়নি। ব্রিজের দুই পাশে সংযোগ রাস্তা পর্যন্ত প্যালাসাইটিং করা হয়নি। টেন্ডারে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা প্রজেশ দাস জানান, ঠিকাদারদের সাথে তার কোনো আঁতাত নেই। যারা ব্রিজের কাজ পায়নি। তারা অযথা বিভ্রান্ত্রি ছড়াচ্ছে। এদিকে ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওবায়দুর রহমান জানান, নিম্নমানের বালু ও পাথর দিয়ে বাবুপুর ব্রিজের ঢালাইয়ের কাজ করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, অনিয়মের অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে বিল দেয়া হবে না।