আলু চাষি ও ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে বীরগঞ্জে ৪ হিমাগার সিলগালা

প্রকাশ | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে আলুর ন্যায্য মূল্য, হিমাগারের অন্যায্য ও অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধি বন্ধের দাবিতে দ্বিতীয় দফায় আন্দোলনে নামেন আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেড। এর আগে একই দাবিতে গত ১৩ ফেব্রম্নয়ারি সড়ক অবরোধ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে দাবি পুরণে এক সপ্তাহের সময় দিয়ে অবরোধ তুলে নেন তারা। কিন্তু সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আন্দোলনকারীদের দাবি না মানায় ফের রোববার সকাল ১১টায় পৌরশহরের বিজয় চত্ত্বরে মানববন্ধন শেষে আলু ফেলে সড়ক অবরোধ করেন তারা। সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী, বীরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল গফুর এবং কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার হায়দার আলী ছুটে আসেন ঘটনাস্থলে। তারা বিষয়টি দ্রম্নত সুরাহা করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন এবং অবরোধ তুলে নেওয়ার অনুরোধন জানান আন্দোলনকারীদের কাছে। কিন্তু দাবি মানা না পর্যন্ত আন্দোলনকারীরা অবরোধ চালিয়ে চাওয়ার ঘোষণা দিলে বাধ্য হয়ে ১২টায় প্রশাসন আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেডের সভাপতি নেতৃত্বে আন্দোলনকারী একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে শাহী নামে ২টি হিমাগার, রাহবার হিমাগার এবং হিমাদ্রী হিমাগার নামে উপজেলার ৪টি হিমাগারগুলিকে সিলগালা করে দেয়। পরে দুপুর ১টায় আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নিয়ে মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যাত্রী ও পন্যবাহী যানবাহনসহ পিকনিকের গাড়ীসহ কয়েক শতাধিক গাড়ি আটকা পড়ে সড়কে। আলু চাডিষ ও ব্যবসায়ীদের হয়রানীসহ হিমাগারের বিরুদ্ধে নানা বৈষম্যের কথা উলেস্নখ করে আলু চাষি ও ব্যবসায়ী সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, 'অস্বাভাবিক হারে হিমাগারের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে হিমাগার মালিকরা। বাজারে মূল্য না থাকায় আলুর আবাদে কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছে। অন্য দিকে হিমাগার মালিকদের অন্যায্য সিদ্ধান্তের কারনে পথে বসতে চলেছে আমাদের কৃষক এবং ব্যবসায়ীরা। তাই বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। আমরা জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে প্রশাসনের আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করে দাবি পুরনে ৭দিনের সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু আলোচনায় হিমাগার মালিকগন আমাদের ন্যায্য দাবি মেনে না নেওয়ায় আমরা আবার আন্দোলনে নেমেছি। দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।' জানতে চাইলে হিমাদ্রি লিমিটেডের প্রজেক্ট ইনচার্জ নুরুন্নবী মন্ডল জানান, প্রশাসন প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করেছে বিষয়টি মালিক পক্ষকে জানানো হবে। এ ব্যাপারে করনীয় মালিক পক্ষ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন। অগ্রিম বুকিং দেওয়া রিসিপ বিষয়ে এবং আলু সংগ্রহের বিষয়ে মালিকপক্ষ সিদ্ধান্ত নেবেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফজলে এলাহী বলেন, 'ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত বিষয়ে সরকারী কোন নির্দেশনা আমরা পাইনি। কোন সিন্ডিকেট কোন সমিতি এমন কোন আচরণ করবে যা জনগণের স্বার্থ নষ্ট হয়। ভোক্তা অধিকার আইনের ২৭ধারার বিধান অনুযায়ী আমরা সিলগালা করেছি। বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।