বড়পুকুরিয়া খনিতে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের কর্মবিরতি

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
চাকুরী স্থায়ীকরণসহ ৫ দফা দাবিতে দেশের একমাত্র উৎপাদনশীল দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির (তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে নিযোগ কৃত) অস্থায়ী কর্মচারীরা অনির্দিষ্ট কালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এতে খনিটির দাপ্তরিক কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বেতন বৈষম্য, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, ওভার টাইম ও উৎসব বোনাস, নৈমত্তিক ছুটি ও মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ পাচ দফা দাবীতে কেন্দ্রীয় আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ডাকা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রোববার সকাল থেকে এই কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছেন তারা। সোমবার বড়পুকুরিয়া কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় খনিটির সিবিএ কার্যালয়ের ফটকে কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করছে আউটসোসিং কর্মচারীরা, এতে অফসের কার্যক্রম অনেকটায় অচল হয়ে পড়েছে, অতিপ্রয়োজনীয় ফাইলপত্র কর্মকর্তাদের নিজহাতে বহন করতে দেখা গেছে। আউটসোর্সিং কর্মচারীরা বলেন, দীর্ঘ ১৫২০বছর ধরে একই প্রতিষ্ঠানে সেবা দিয়ে আসছেন তারা। একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে চাকুরী করলেও স্থায়ী কর্মচারীদের তুলনায় বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। বেতন বৈষম্যের সঙ্গে বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা, উৎসব ভাতা থেকে দীর্ঘ দিন থেকে বঞ্চিত অস্থায়ী কর্মচারীরা। তারা বলেন, বিগত স্বৈরাচার সরকার ২০১৮ সালে প্রজ্ঞাপণ জারী করে আউটসোর্সিং কর্মচারীদের ওভার টাইম, উৎসব বোনাস, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ যাবতীয় সুযোগ সুবিধা বাতিল করে। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েন খনির অস্থায়ী ২৮৭ কর্মচারী। এরপর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতন হলে আশার আলো জাগে কর্মচারীদের মনে। তারা বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে ঢাকায় আন্দোলন করেন। তখন প্রধান উপদেষ্টা পরিষদ বৈষম্য বিবেচনার আশ্বাস দিলে আন্দোলন শিথিল করে কাজে যোগ দেয়। কিন্তু ৬ মাসেও দৃশ্যমান কোন উদ্যোগ না নেয়ায় আবারও আন্দোলনে যায় কর্মচারীরা। সেই আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে এই কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। দাবি পুরণ না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রিয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই কর্ম বিরতি চলে বলে তার জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার বলেন, সারাদেশের আউটসোর্সিং কর্মচারীদের সাথে খনির ২৮৭ কর্মচারীও কর্মবিরতি পালন করছে। এতে দাপ্তরিক কাজের কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে, তবে কয়লা উৎপাদনে কোন প্রভাব পড়বে না।