যবিপ্রবি ও নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়
শেখ পরিবারের নামে থাকা স্থাপনার নাম পরিবর্তন
প্রকাশ | ০২ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
স্বদেশ ডেস্ক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের নামে থাকা স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিকনিধিদের পাঠানো বিস্তারিত খবর-
যবিপ্রবি প্রতিনিধি জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) শেখ পরিবারের নামে থাকা চার স্থাপনা ও একটি ইনস্টিটিউটের নাম পরিবর্তন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড। শুক্রবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৫তম রিজেন্ট বোর্ডের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবনের নাম পরিবর্তন করে কবি নজরুল একাডেমিক ভবন, শেখ হাসিনা ছাত্রী হলের নাম পরিবর্তন করে তাপসী রাবেয়া হল, শেখ রাসেল জিমনেসিয়ামের নাম পরিবর্তন করে বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান জিমনেসিয়াম রাখা হয়েছে। এছাড়া ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া ইনস্টিটিউট ফর অ্যাডভ্যান্সড স্টাডিজ এর নাম পরিবর্তন করে ইনস্টিটিউট ফর হায়ার স্টাডিজ এন্ড রিচার্স রাখা হয়েছে।
এদিকে একই রিজেন্ট বোর্ডের সভায় যবিপ্রবি ঝিনাইদহের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ভেটেরিনারি ছাত্র হলের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কবি গোলাম মোস্তফা হল।
উলেস্নখ্য, জুলাই বিপস্নব পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল শেখ পরিবারের নামে থাকা বিভিন্ন স্থাপনার নাম পরিবর্তন করা।
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জানান, ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শেখ পরিবারের নামে থাকা দুই আবাসিক হল ও বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান সূত্রে জানা যায়, ২৮ ফেব্রম্নয়ারি অনুষ্ঠিত ৮৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পুরুষ শিক্ষার্থীদের জন্য 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান' হলের নাম পরিবর্তন করে 'বিদ্রোহী' হল এবং নারী শিক্ষার্থীদের জন্য 'বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব' হলের নাম পরিবর্তন করে 'শিউলিমালা' হল রাখা হয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের নতুন নামকরণ করা হয়েছে 'জুলাই-২৪ স্কয়ার'। এদিকে এখনো শেখ রাসেলের নামে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, একটি শিশু পার্ক এবং কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের নাম অপরিবর্তিত থাকায় অনেক শিক্ষার্থীর মাঝে অসন্তোষ দেখা যায়।