শরীয়তপুরে গণপিটুনিতে মৃতু্যর ঘটনায় দুই মামলা

প্রকাশ | ০৩ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর সদরের ডোমসার ইউনিয়নের তেতুলিয়া এলাকায় গণপিটুনিতে তিনজনের মৃতু্যর ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। রোববার দুপুরে পালং মডেল থানার ওসি হেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাতে অস্ত্র আইনে ও ডাকাতির প্রস্তুতির ঘটনায় পালং মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় শনাক্ত করা গেছে। তিনি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কানারগাঁও এলাকার এবাদুল বেপারী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাতে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার রাজারচর এলাকায় ডাকাতি শেষে কীর্তিনাশা নদী দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে স্থানীয়রা তাদের ধাওয়া দেন। তখন ডাকাতরা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। গুলিতে বাল্ক হেডের শ্রমিক পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার মাসুম মিয়া (৩০) ও পিরোজপুরের কালিকাঠীর আলামিন ফকির (১৯) গুলিবিদ্ধ হন। পরে ডাকাতরা পালিয়ে শরীয়তপুরের আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ভাসানচর এলাকায় ঢুকে পড়ে। এরই মধ্যে ডাকাতির খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা সতর্ক হয়ে যান। জনতার ধাওয়া খেয়ে ডাকাতরা কীর্তিনাশা নদী দিয়ে পালানোর জন্য রাজগঞ্জ এলাকা দিয়ে নদীপথে বের হওয়ার চেষ্টা করে। তবে স্থানীয়রা বাল্কহেড দিয়ে ডোমসার এলাকার তেতুলিয়া গ্রামের নদীপথ আটকে দেয়। বাধা পেয়ে ডাকাতরা স্পিডবোট তীরে রেখে পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা তাদের ধাওয়া দেন। ডাকাতরা তখন হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটায় ও এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় ডাকাতদের গুলিতে বাল্ক হেডের শ্রমিক ডোমসার মোলস্না কান্দি এলাকার তোতা মিয়া (৩৫) ও স্থানীয় একজন আহত হন। পরে স্থানীয় জনতা সাত জনকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই দুইজনের মৃতু্য হয়।