সড়কে চলাচলরত মানুষের চরম দুর্ভোগ

বরাদ্দের অপেক্ষায় বছরের পর বছর মেরামত কাজ

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

সঞ্জয় সুত্রধর, শিবালয় (মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জের শিবালয়ের উথলী-জাফরগঞ্জ সড়কের বেহাল দশা -যাযাদি
বরাদ্দের অপেক্ষায় বছরের পর বছর মেরামতের জন্য মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার উথলী-জাফরগঞ্জ সড়কটি বেহাল অবস্থা হয়ে পড়েছে। উথলী থেকে শুরু করে জাফরগঞ্জ পর্যন্ত ৯কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বিটুমিন ও ইটের খোয়া উঠে অসংখ্য ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে প্রতিদিনই ইজি বাইক, হ্যালোবাইক, আটোরিকশা, সিএনজিসহ বিভিন্ন যানবাহন উল্টে দুর্ঘটনা ঘটছে। সড়কে গর্তের কারনে ভারি কোন যানবাহন চলাচল করছে না দুর্ঘটনার আশংকায়। বৃষ্টি হলে সড়কের বিভিন্ন স্থানের গর্তের মধ্যে পানি জমে থাকে। তবে স্থানীয়রা জানান, সড়কটি দ্রম্নত সংস্কার করা না হলে এ সড়কে চলাচলরত যানবাহন উল্টে যে কোন সময় যাত্রীদের সড়ক দুর্ঘটানায় প্রাণহানি ঘটতে পারে। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিস সূত্রে জানা যায়, উথলী থেকে জাফরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৯ কিলোমিটার। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে প্রায় ৩৩ লখ টাকা ব্যয়ে এলজিইডির অর্থায়নে উথলী বাজার থেকে জাফরগঞ্জ বাজার পর্যন্ত রাস্তার কাপেটিং করা হয়। মাত্র চার বছরে রাস্তাটির কাপেটিং বিটুমিন ও ইটের খোয়া উঠে অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি মেরামত না করায় দিন দিন গর্তের সংখ্যা বাড়ছে। স্থানীয়রা বলেন, এ সড়কে প্রতিদিন সিএনজি ও অটোরিকশাসহ প্রায় ৫ শতাধিক যানবাহনে এক লাখ যাত্রী চলাচল করেন। এ সড়কটি দীর্ঘদিন মেরামত না করায় বিভিন্ন স্থানের বিটুমিনও ইট পাথর উঠে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের রাস্তায় ডাবল সময় লাগছে। অসুস্থ রোগীদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া খুবই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। এ সড়কে চলাচলরত সিএনজি চালক সাবদুল হোসেন, হেলাল আলী, সুজন শেখ, কামাল হোসেন, জিলস্নাল শেখসহ ২০-২৫ সিএনজি ও হ্যালোবাইক চালক বলেন, 'দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে আমরা চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছে এ সড়কের সংস্কারের দাবী করে আসলেও কেউ আমাদের কথা শোনে না। সড়কে দীর্ঘদিন ধরে অসংখ্য গর্তের কারনে প্রতিদিন ৩-৪টি যানবাহন উল্টে যাত্রীরা আহত হচ্ছেন। এছাড়া, প্রতিদিনই কম পক্ষে ১০-১২টি গাড়ির এক্সেল ভাঙা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে।' কৃষকদের ফসলি মাঠের উৎপাদিত ফসল হাট বাজারে নেওয়া আনা করতে সমস্যা হচ্ছে। গাড়ী চালকদের দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হচ্ছে। যানবাহনে হাফ লোড নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে। অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় ঝাঁকিতে আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে। উথলী ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মলিস্নক বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়ে কোন লাভ হচ্ছে না। সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরে মেরামত না করায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। শিবালয় উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সড়কটি মেরামত করা হয়েছিল। তার পর আর মেরামত করা হয়নি। সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে অনেকেই জানিয়েছেন। সড়কটি মেরামতের জন্য ওয়াল্ড ব্যাংকের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ সড়কের মেরামতের জন্য বাজেট আসলেই কাজ শুরু করা হবে।