পীরগঞ্জে আগুনে ৯ দিন মজুরের বাড়ি ভস্মিভুত

বীরগঞ্জে জাতীয় উদ্যান সিংড়া শালবনে অগ্নিকান্ড

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জাতীয় উদ্যান সিংড়া শালবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে আগুনে ৯ দিন মজুরের বাড়ি পুড়ে গেছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে বিস্তারিত- বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি জানান, দিনাজপুরের বীরগঞ্জে জাতীয় উদ্যান সিংড়া শালবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে বাগানের একটি অংশের শালগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ পুড়ে গেছে। সংবাদ পেয়ে প্রায় ৩ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে বীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। সোমবার দুপুরে উপজেলার ভোগনগর ইউনিয়নের সিংড়া শালবনের প্রবেশদ্ধারের সামনে বাগানের একটি অংশে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। সিংড়া শালবন বিট কর্মকর্তা গয়া প্রসাদ পাল জানান, দুপুরে হঠাৎ করে প্রবেশদ্ধারের সামনে বাগানের একটি অংশের বেত বাগানে আগুন দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। বিষয়টি তৎক্ষণিক ভাবে ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করা হয়। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট প্রায় ৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুর সাড়ে ৩টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এটি নাশকতা কিনা জানতে চাইলে বীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার মসলেম উদ্দীন জানান, এই মুহুর্তে এটিকে নাশকতা বলা যাবে না। বাগানে ঘুরতে আসা কোন দর্শনার্থীর সিগারেট হতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অগ্নিকান্ডে বাগানের আনুমানিক ৮-১০টি মৃত শালগাছ এবং বেতগাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির শতাধিক গাছ পুড়ে গেছে। ঋতু পবির্তনের ফলে বাগানে পাতা ঝড়ে যাওয়ায় এবং ফাল্গুন মাসের বাতাসের কারণে আগুন তীব্র আকার ধারন করে দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়ে বলে তিনি আরও জানান। পীরগঞ্জ (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি জানান, ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে অগ্নিকান্ডে ৯ দিন মজুরের বাড়ি ভস্মিভুত হয়েছে। গত রোববার রাতে উপজেলা চাপাপাড়া গ্রামে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম জানান, উপজেলার খনগাঁও ইউনিয়নের চাপাপাড়া গ্রামের শাহজামালের বাড়িতে বৈদু্যতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। আগুন দ্রম্নত ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের আরো ৮টি বাড়ি ভস্মিভুত হয়। খবর পেয়ে পীরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটস্থলে গিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নেভায়। সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এনএম ইসফাকুল কবীর ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তারিফুল ইসলাম ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেছেন। ক্ষতিগ্রস্তরা সবাই দিনমজুর। প্রত্যেক পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৩০ কেজি করে চাল ও শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে বলে জানান উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা।