পেনশনের টাকায় কেনা জমি হারানোর ভয়ে সেনা সদস্য

প্রকাশ | ০৪ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

যাযাদি রিপোর্ট
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন থেকে অর্জিত অর্থ এবং পেনশনের টাকা দিয়ে রাজধানীর পলস্নবীর ইস্টার্ন হাউজিং দ্বিতীয় পর্বে ১৬ শতাংশ জমি কেনেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। কষ্টার্জিত টাকায় কেনা এই জমি এখন স্থানীয় সন্ত্রাসীরা দখল করে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জাহাঙ্গীর হোসেন দাবি করেন, ২০১৮ সালে নুরজাহান বেগমের কাছ থেকে ৬৪ লাখ ৬০ হাজার টাকায় ওই জমি কেনেন। এক বছর পর সেই জমির নামজারি করে খাজনা পরিশোধ করেন। তবে ২০২৩ সালে সেই জমির ওপর নজর পড়ে আওয়ামী লীগের দোসর মিরপুরের ভূমিদসু্য, দখলবাজ ও বিভিন্ন মামলার আসামি বায়েজিদ, আশরাফ উদ্দিন, তাজউদ্দিন, মারুফসহ কয়েকজনের। তারা ওই জমিটি তাদের বলে দাবি করেন এবং অন্যায়ভাবে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। জমি ছেড়ে দিতে তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকিও দেন। এই ঘটনায় ২০২৩ সালের ১১ জানুয়ারি জাহাঙ্গীর হোসেন পলস্নবী থানায় জিডি করেন। পরবর্তীতে থানা পুলিশ বায়েজিদ ও আশরাফদের তাদের জমিজমার কাগজপত্র নিয়ে থানায় আসতে বলে। কিন্ত তারা থানায় যাননি। এরপর তারা হুমকি-ধমকি দিলে তিনি ২০২৩ সালের ৫ ফেব্রম্নয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। ওই মামলায় এসি-ল্যান্ডের তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদালত জমিতে বায়েজিদদের প্রবেশ রোহিত করেন। কিন্তু তারা আদালতের রায় না মেনে জমিতে প্রবেশ করে দখলের চেষ্টা করেন। এ অবস্থায় জাহাঙ্গীর হোসেন আবার আদালতে ভূমি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইনে মামলা করেন, যা এখনো চলমান। জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বায়েজিদ ও আশরাফ এখনও হয়রানি করতে এবং তার কষ্টের টাকায় কেনা জমি দখলে নিতে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে তার নামজারির বিরুদ্ধে এসি-ল্যান্ডের কাছে রিভিউ মামলা করেন। সে মামলাও চলমান রয়েছে। জাহাঙ্গীরের অভিযোগ, তারা বিভিন্নভাবে তাকে হত্যা ও মামলার ভয় দেখাচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনি সরকারের কাছে সহায়তা কামনা করেন।