মেহেরপুরে গাছে গাছে শোভা পেতে শুরু করেছে আমের মুকুল। বাগান মালিকরা বেজায় খুশি। প্রাকৃতিক দূর্যোগ, হপার পোকার সংক্রমণ প্রতিরোধসহ ফলের গুটি যেন ঝরে না যায় সেজন্য গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। সঠিক পরিচর্যা ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ফলন ভালো হবার প্রত্যাশা করছেন বাগান মালিকরা।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, এ বছর মেহেরপুরে ২ হাজার ৬৭০ হেক্টর জমিতে আম বাগান আছে। উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ৩৮ হাজার ২৯৮ মেট্রিকটন। গেল বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও হপার পোকার সংক্রমণে আমের উৎপাদন কম হয়েছিল। এবছর আগে থেকেই বাগান পরিচর্যা হপার পোকা দমনে অগ্রিম কীটনাশক প্রয়োগ সহ গাছে সার ও পানির ব্যাবস্থা করায় ব্যাপক মুকুল এসেছে।
বাগান মালিক ও ব্যবসায়ীরা আশা করছেন গত বছরের তুলনায় এবার আমের শতভাগ মুকুল এসেছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবার দ্বিগুনেরও বেশি ফলন হবে। আমের বাজার ভাল পেলে ভাল লাভবানের আশা তাদের।
সদর উপজেলার আমঝুপি বস্নকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম জানান, এবার আমগাছগুলিতে আমের মুকুলে ভরে গেছে। এই মুকুল যাতে টিকে থাকে তার জন্য আমের মুকুল ঝরে যাওয়া রোধে সেচ, সার, ঔষধ স্প্রেসসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে চাষীদের।
কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার যায়যায়দিনকে জানান, শুরুর দিকে কখনও ঠান্ডা কখনও গরমের কারনে মুকুল আসতে কিছুটা দেরী হলেও এখন গরমের কারনে সব মুকুল ফুটে গেছে। প্রতিটি বাগানের আমগাছে আশনুরুপ মুকুল এসছে। এবার আম উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।