জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় সূর্যমুখী চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। উপজেলার চরাঞ্চলের বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে হাসছে সূর্যমুখী ফুল। এই সূর্যমুখীকে কেন্দ্র করে স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা। সূর্যমুখী চাষে তেলবীজ উৎপাদনের পাশাপাশি তৈরি হয়েছে কৃষি পর্যটনের নতুন সম্ভাবনাও। জনপ্রিয় এই সূর্যমুখী ফুল দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছেন শত শত দর্শনার্থী।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যোগে বাস্তবায়ন হচ্ছে সূর্যমুখী প্রদর্শনী। এছাড়া কৃষকদের নতুন ফসল চাষে দেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তিগত সহায়তা ও পরামর্শ। ভবিষ্যতে কৃষি পর্যটনেও সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি গ্রামীণ অর্থনীতিকে আরো শক্তিশালী করতে কাজ করছে উপজেলা কৃষি বিভাগ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ১৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছে। আর গত বছর মাত্র ১ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখীর চাষ হয়েছিল। হাইসান-৩৩, আরডিএস-২৭৫সহ বেশ কয়েকটি জাতের সূর্যমুখীর চাষ করেছেন কৃষকরা। সূর্যমুখী চাষিদের কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। এ উপজেলার চাষিরা আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে ফসল সংগ্রহ করতে পারবেন। চলতি বছরে সবচেয়ে বেশি সূর্যমুখীর চাষ করেছেন বালিজুড়ী ইউনিয়নের কামারিয়ার চর, চরশুভগাছা, সুখনগরী এলাকার কৃষকরা। পার্টনার প্রকল্প ও বাংলাদেশের চর এলাকায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের মাধ্যমে এ উপজেলায় সূর্যমুখীর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সূখনগরী এলাকার সূর্যমুখী চাষি মির্জা হুমায়ুন কবীর জানান, সরকারি প্রনোদনা ও প্রদশনীর মাধ্যমে বীজ ও সার পেয়ে এবছর প্রথম ২ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী চাষ করেছেন। প্রথমে তেমন আগ্রহ না থাকলেও ফলন দেখে অনেক ভালো লাগছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহাদুল ইসলাম বলেন, কম খরচ ও অল্প পরিশ্রমে লাভবান হওয়ায় এবং কৃষি অফিসের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে কৃষকরা সূর্যমুখী চাষের দিকে ঝুঁকছেন। প্রতি বছরই এ উপজেলায় সূর্যমুখীর আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে।