সিভিল সার্জন বলে কথা!

প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

রংপুর প্রতিনিধি
রংপুরে সিভিল সার্জন সদর হাসপাতাল মসজিদ কমিটির সভাপতি। তিনি ক্ষমতা বলে অনিয়ম করে সরকারি টাকা মসজিদে দিয়েছেন। ওই টাকা সরকারি ফান্ডে জমা না করে মসজিদের নামে কিভাবে টাকা তুলেছেন তা নিয়ে অনেকের মাঝে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রংপুর নগরীর সিটি কর্পোরেশনের বিপরীতে প্রধান সড়কের সামনে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নতুন ভবনের লাগোয়া প্রায় ২শতক জায়গা ১০ লাখ টাকায় পাঁচ বছরের জন্য লীজ দেয়া হয়। ওই স্থানে ৬টি দোকান হওয়ার কথা রয়েছে। লীজকারি আলমগীর হোসেন জানিয়েছেন, তিনি ফুটপাতে হকার ছিলেন। সেখানে তিনি রেডিমেড কাপড়ের ব্যবসা করতেন। তিনি সহ মোট ৬ জন হকার রয়েছেন। জেলা সিভিল সার্জন অফিসের অনেকে জানিয়েছেন, লীজ দেয়ার বিষয় নিয়ে কোন আলোচনা বা রেজুলেশন কিছুই করা হয়নি। মসজিদের উন্নয়নের কথা বলে সিভিল সার্জন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, ও গাড়ি চালকের পরিকল্পনায় লীজ দেয়া হয়েছে। তারা এও জানিয়েছেন সরকারি অফিস বা দপ্তরের কোন জমি লিজকৃত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হওয়ার কথা। সেটিও তারা করেনি। সদর হাসপাতাল মসজিদের ইমাম মোঃ মাহমুদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তার সাথে সদর হাসপাতালের জায়গার লীজকৃত টাকা কোথায় জমা হয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন। পরের দফায় কল দেয়া হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে মসজিদের মোয়াজ্জেম শাহজালাল জানান, তাদের হাত দিয়ে মসজিদের উন্নয়নে কোন টাকা খরচ করা হয় না। সভাপতি নিজে খরচ করেন। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মাহবুবার রহমান বলেন লীজকৃত টাকা কোথায় জমা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেন না। এ ব্যাপারে রংপুর জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তফা জামাল চৌধুরী সাথে কথা হয়। তিনি জানান, মসজিদের কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই জায়গায় লীজ দেয়া হয়েছে। টাকাটি মসজিদের উন্নয়নে খরচ করা হবে। তবে তিনি সরকারি কোষাগারে জমা না করে কিভাবে মসজিদের উন্নয়নে খরচ করা হচ্ছে সে সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোন জবাব দিতে পারেননি। তিনি বলেন ভালো কাজে ওই টাকা খরচ করা হচ্ছে। উলেস্নখ্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের উপ সচিব সানজিদা শারমিন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, রংপুর জেলার সিভিল সিভিল সার্জনকে ঢাকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে ওসডি করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ মাচের) মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে বলা হয়েছে। তা না হলে ৯ মার্চ থেকে বর্তমান কর্মস্থলে তাৎক্ষণিক ভাবে অবমুক্ত বলে গণ্য হবে। প্রজ্ঞাপনটি ২মাচ ইসু্য করা হয়েছে।