গাংনীতে ইফতারী পণ্যের বাজার চড়া
ক্রেতাদের নাগালের বাইরে বেগুন, শসা আর তরমুজ
প্রকাশ | ০৬ মার্চ ২০২৫, ০০:০০
মজনুর রহমান আকাশ, গাংনী (মেহেরপুর)
মেহেরপুরের গাংনীতে রমজানের শুরুতেই নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর দাম কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও ইফতারী পণ্যের বাজার এখন লাগামহীণ ঘোড়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ইফতারী পণ্যের দাম বেড়েছে তিনগুণ। বিশেষ করে তরমুজ, বেগুন, শসাসহ বিভিন্ন প্রকার ফল নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের নাগালের বাইরে। স্থানীয় খুচরা বিক্রেতা ও সবজি চাষিরা পরিকল্পিতভাবে এসব পণ্যের দাম বাড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্রেতা সাধারণ। তবে বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন কাজ করছে বলে জানালেন উপজেলা প্রশাসন।
সরেজমিনে গাংনী কাঁচা বাজার, বামন্দি, রায়পুর, হেমায়েতপুর, সিন্দুর কৌটা বাজার ঘুরে দেখা গেছে এক সপ্তাহ আগে বেগুনের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি সেই বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭৫ টাকায়। শসা পাওয়া যাচ্ছে ৮০ টাকা কেজি। অথচ দশ দিন আগেও শসা ছিল মাত্র ১৫-২০ টাকা কেজি। বর্তমানে সেই তরমুজ ৮০ টাকা কেজি। এক কেজি পেয়ারার দাম ৮৫ টাকা। আঙ্গুর ৩৫০ টাকা কেজি, কমলা ও মালটার দাম ৩৫০ টাকা কেজি। প্রকার ভেদে খেজুরের দামও বেড়েছে। তাছাড়া পেয়ারা ও বরইয়ের দাম স্থিতীশিল। গাংনী বাজারের আড়ৎদার সাহাদুল হক জানান, পাইকারী বাজারে বেগুন, শসার দাম বেড়েছে। সেভাবেই খুচরা বিক্রেতারা দাম বাড়িয়েছে। রমজানকে পুঁজি করেই অনেক খুচরা ব্যবসায়ি ও ইফতারী বিক্রেতা কৌশলে দাম বাড়িয়ে দেয়। একই কথা জানালেন বামন্দী কাঁচা বাজারের আড়ৎদাররা। শুধু তাই নয়, কৃষক পর্যায়েও রমজান মাসকে পুঁজি করে সব ধরনের সবজি ও ইফতারী পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে। তারপর কয়েক হাত ঘুরে ভোক্তা পর্যায়ে দাম আরও বেড়ে যায়। হেমায়েতপুর বাজারের পেঁয়াজু বিক্রেতা সোলাইমান জানান, কয়েকদিন আগেও এক পিস বেগুনি বিক্রি হতো ৫ টাকায় অথচ বেগুনের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি করতে হচ্ছে ১০ টাকায়। খুচরা বাজারে বেগুন, শসা, পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইফতারী পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন তারা। ছোলা ও ডালের দামও বেড়েছে আগের তুলনায় বেশি।
ভুক্তভোগিদের মতে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম তেমন বেশি না। তবে ইফতারী পন্যের দাম অস্বাভাবিক। ছোলা ডাল তেল চিনি, বেগুন শসাসহ এসব মৌসূমী পন্যের দাম বেড়েছে দ্বিগুন তিনগুন। বাজার মনিটরিংয়ের কোন ব্যবস্থা না থাকা ও নজরদারী না থাকায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা জানান, পণ্যের সরবরাহের কমতির বা ঘাটতির অজুহাতে দাম বাড়ানো হচ্ছে। প্রশাসনও বেশ তৎপর রয়েছে। কোন অসঙ্গতি পাওয়া গেলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।