শিশুকে বাবার হাতে তুলে দিলেন ইউএনও

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শিশুটির বয়স প্রায় চার বছর। অল্প স্বপস্ন করে কথা বলতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের একটা সোফা সেটের উপরে বসে খেলা করছিল। শিশুটির উপলদ্ধি নেই ও হারিয়ে গেছে মায়ের কোল থেকে। অচেনা স্বল্প সময়ের পরিচিত দুই স্কুল ছাত্রের সাথে ভাই ভাই সম্বোধন করে তাদের সাখে খেলা করছে। ছাত্র দুটিও তাকে বোনের মত আদর করছে। ওর পরিবার কে খুজতে সে সময় ব্যস্ত থাকেন ইউএনও। শিশুটি খেলায় মগ্ন। নেই বাবা মায়ের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য কোনো আকুতি বা কান্না। মা ভারসাম্যহীন। ভারসাম্যহীন জীবনে তিনি সন্তানের জননী। ভারসাম্য থাকায় এখন শিশুটির বাবার সাথে সংসার টিকেনি। ওর মা'বাবা দু-ভূবনের বাসিন্দা হিসেবে বসবাস করছেন। কেহ কারো খোজ খবর রাখে না। তাদের পরিবারের তিন সন্তানের মধ্যে বড় শিশুটির নাম লামিয়া (৪), দ্বিতীয় সন্তান হিসাবে একটি পুত্র। আর তৃতীয় সন্তান হিসাবে মায়ের কোলে রয়েছে দেড় বছরের এক কন্যা শিশু। শিশুটির বিষয়ে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবগত করা হয়। ওই বাবুরচরের বাসিন্দা ও সদরপুরের সাংবাদিক রোকনুজ্জামানের সহায়তায় ওই দুই ছাত্র শিশুটিকে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে নিয়ে আসেন। শিশুটির সনাক্ত বা তার পরিবাকে খোজার জন্য বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে সংবাদ দেওয়া হয়। কিন্তু তার কোনো সন্ধান মিলছিল না। খালি শরীরে থাকায় ইউএনও শিশুটিকে কয়েক সেট জামাকাপড়,সেন্ডেল,ব্রাশসহ খাবার কিনে দেন। ইউএনও জাকিয়া সুলতানা সদরপুর সমাজসেবা কর্মকর্তা কাজী শামীম আহম্মেদ এর সাথে শিশুটির ব্যাপারে পরামর্শ করে ফরিদপুরের সরকারি শিশু পরিবার (সেবা হোম) এতিমখানায় হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেন। শিশুটির প্রসঙ্গে ইউএনও জাকিয়া সুলতানা জানান, আমি ওর ব্যাপারে অবগত হলে আমার অফিসে নিয়ে আসতে বলি। ওর বা ওর পরিবারের সন্ধান খুজতে শুরু করি। প্রথমত না পেয়ে সরকারি ভাবে শিশুটিকে পুর্নবাসনের জন্য ফরিদপুর শিশু পরিবার বালিকা সেবা হোমে পাঠানো সিদ্বান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে তার পরিবারের সন্ধান পেয়ে শিশুটির বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।