মেহেরপুরে তুলার ভালো ফলন ও লাভের আশা কৃষকের

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

মেহেরপুর প্রতিনিধি
এবছর মেহেরপুরে প্রাকৃতিক দূর্যোগে তুলা চাষ চরম বিঘ্নিত হয়েছে। এবছর একই জমিতে ৩-৪ বার তুলা বীজ বপন করতে হয়েছে। ফলে সরকারের প্রণোদনা বিফলে গেছে। তারপরেও এখন জমিতে যে গাছ আছে তাতে কাংখিত ফলন না হলেও লোকসান হবেনা। তবে তুলার দাম ৫ হাজার টাকা মণ হলে লাভবান হবে জানিয়েছে চাষীরা। মেহেরপুর জেলায় এবার ২ হাজার ২শ হেক্টর জমিতে তুলার চাষ হয়েছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে চাষীরা জমিতে কয়েকবার তুলা বীজ রোপন করে তুলা গাছ টিকিয়ে রেখেছে। ফলে এবার তুলা চাষে খরচ বেশি হয়েছে। কাংখিত ফলন না পেলেও বর্তমান বাজার দামে তুলা বিক্রি করে লাভবান হবে চাষী। অনেক চাষী বর্তমানে সাথী ফসল হিসাবে তুলার জমিতে ধনেপাতা, মূলা, কপি,শাক আবাদ করছে। এবছর তুলার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে তুলা উৎপাদন হয় ১৫-১৬ মণ। প্রতি বিঘা জমি তুলা চাষে খরচ হয়েছে ১৮-২০ হাজার টাকা। মেহেরপুর জেলা ইউনিটের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা এজাজুল ইসলাম জানান, মেহেরপুর জেলায় ১২ হাজার ৫শ ৩৬ জন তুলা চাষী রয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ৪শ ৫০ জনকে প্রণোদনা উপকরণ, বীজ, সার, কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক দেওয়া হয়েছে। মেহেরপুর-চুয়াডাংগা আঞ্চলিক তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সেন দেবাশিস জানান, গেল বছর মেহেরপুর-চুয়াডাংগা অঞ্চলে ১০ হাজা্‌র মেঃটন তুলা উৎপাদন হয়েছিলো। এবছর ১০-১১ হাজার মেঃটন তুলা উৎপাদন হবে। তুলার দাম ভাল আছে চাষীরা লাভবান হবে। যশোর অঞ্চলের তুলা উন্নয়ন বোর্ডের উপপরিচালক ড. কামরুল হাসান যায়যায়দিনকে জানান, চাষীদের মাঝে তুলা উত্তোলনের যন্ত্র সরবরাহ করার চেষ্টা চলছে। এছাড়া তুলা উৎপাদনের জীবনকাল কমিয়ে আনার জন্য গভেষণা চলছে। সফল হলে তুলা চাষীরা বেশি লাভবান হতে পারবে।