জীববৈচিত্র্য রক্ষায় হাকালুকির ১১ বিলকে অভয়াশ্রমের প্রস্তাব

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে হাকালুকি হাওরের আরও ১১টি বিলকে অভয়াশ্রমের আওতায় আনার জন্য প্রস্তাবনা করেছে। এতে করে হাকালুকির জীববৈচিত্র্য রক্ষা ও হাওর তীরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হবে। তবে হাওর তীরের বাকি উপজেলাগুলো এগিয়ে এলে হাওরের ইকোসিষ্টেমের আরও উন্নয়ন হবে। কুলাউড়া উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্রে জানা যায়, গত ডিসেম্বর মাসে হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউড়া উপজেলা ইসিএ কমিটির সভায় হাকালুকি হাওরের উন্নয়ন এবং হাওর তীরের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক আলোচনা হয়। ১৯৯৯ সালে হাকালুকি হাওরকে ইকোলজিকেল ক্রিটিক্যাল এরিয়া (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এরপর পরিবেশ অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা হাওর উন্নয়নের নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করলেও প্রকৃত অর্থে হাওরের কিংবা হাওর তীরের মানুষের কোন উন্নয়ন হয়নি। সকল অর্থই হাওরের জলে ভেসে গেছে। কুলাউড়া মৎস্য অফিসের পক্ষ থেকে নতুন করে ১১টি বিলকে অভয়াশ্রমের আওতায় আনার প্রস্তাব করেন সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু মাসুদ। প্রস্তাবিত বিলগুলো হলো হাকালুকি হাওরের কুলাউড়া উপজেলা অংশের মেদি বিল, পানি খাওয়া বিল, কছমা বিল, সিংকুড়ি বিল, শ্রীকষ্টি বিল, শশাবিল, মহিষমারা বিল, গৌড়কুড়ি বিল, হাওয়া বর্নী ফুট বিল, চাপড়া বিল ও ফাটা চাপড়া বিল। সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু মাসুদ জানান, হাকালুকি হাওরকে রক্ষার এখনই মোক্ষম সময়। হাওর তীরের বাকি ৪টি উপজেলার মৎস্য বিভাগও এগিয়ে আসা উচিৎ। হাওরে যদি অর্ধশত অভয়াশ্রম বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে হাকালুকি থেকে মাছ বিদেশে রফতানি করা সম্ভব। তবে প্রস্তাবিত বিলগুলোকে ইজারার আওতায় নিতে গেলে কিছুটা উন্নয়ন ব্যয় করতে হবে। যেমন বিলগুলোকে খনন করে বিলের গভীরতা বাড়াতে হবে। এসব বিলে যাতে বর্ষা ও শুষ্ক মৌসুমে কেউ জাল দিয়ে মাছ শিকার করতে না পারে তারজন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব প্রস্তাবনাও তিনি করেছেন।