অন্ধকার এক্সপ্রেসওয়ের গোল চত্বর, নিরাপত্তাহীনতায় যাত্রীরা

প্রকাশ | ১০ মার্চ ২০২৫, ০০:০০

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের গোল চত্বর -যাযাদি
ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে শক্তিশালী ভূমিকা পালন করছে। আর এ মহাসড়ক নিরাপদ রাখার দাবি গাড়িচালক ও মালিকরা প্রতিনিয়তই জানিয়ে আসছে। কিন্তু মাদারীপুরের শিবচরে এক্সপ্রেসওয়ের পাঁচ্চর গোল চত্বরের বাস স্টপেজে কোন ল্যাম্পপোস্ট না থাকায় প্রায়ই ছোট-বড় ছিনতাইয়ের কবলে পড়ছেন এ পথে চলাচলকারী যাত্রীরা। এ অবস্থায় যাত্রীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। দেশের বস্ততম এই এক্সপ্রেসওয়ে পাঁচ্চর গোল চত্বর থেকে রাজধানী ঢাকায় প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাচল করে। কিন্তু এক্সপ্রেস ওয়ের গোল চত্বরে ল্যাম্পপোস্ট না থাকায় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে পথচারীদের। এই গোল চত্বর দিয়ে রাজধানী ঢাকায় বিভিন্ন পেশার মানুষের চলাচল করতে হয়। আর রাতে আলো না থাকায় ছিনতাইকারীদের কবলে ও নিরাপত্তাহীনতায় পড়তে হয় নারী যাত্রীদের। সরকার এত টাকা দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি করছে আর এই গোল চত্বরে ল্যাম্পপোস্ট না থাকায় মানুষের জানমাল হুমকির মুখে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ে গোল চত্বরে কোন ল্যাম্পপোস্টই নেই। অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে আছে গোটা এলাকা। চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার তার মধ্যে দূরপালস্নার বাসগুলো হেড লাইট জ্বালিয়ে দ্রম্নতগতিতে যাতায়াত করছে। অন্ধকারেই দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয় যানবাহনের জন্য। রাতে গোল চত্বরে আলো না থাকায় ওঁৎ পেতে থাকা একদল চোর-ছিনতাইকারী চক্র। মাঝেমাঝে হুমকি-ধমকি দিয়ে মোবাইল, টাকা-পয়সাসহ অন্য মূলবান জিনিসপত্র নিয়ে যায়। এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল শেখ বলেন, আলোবিহীন গোল চত্বর থাকায় অনেক ছিনতাই চুরির ঘটনা বা নারী যাত্রীদের সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভবনা রয়েছে। সরকার হাজার কোটি টাকা খরচ করে এত সুন্দর একটি স্থাপনা তৈরি করেছে সেখানে আলো থাকবে না বিষয়টি দুঃখজনক। সরকারের কাছে অনুরোধ গোল চত্বরে যেন লাইটিং এর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। পাঁচ্চর গোল চত্বরে যাত্রাবাড়ী বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মিরাজ মোলস্না। তিনি বলেন, 'যেখানে বাস দাঁড়াবে, সেই জায়গাটা অর্থাৎ গোল চত্বরের বাস স্টপেজটা অন্ধকার। সেজন্য এদিকে দূরে এসে আলোতে দাঁড়িয়েছি। বাস এলে ওদিকে যাব। অন্ধকারে দাঁড়ালে ছিনতাইকারীর কবলে পড়ার ভয় আছে।' আরেক যাত্রী তাসলিমা আক্তার বলেন, 'জরুরী কাজে ঢাকা যাচ্ছি। অন্ধকারে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে আছি। ভয় লাগছে, কখন কী হয়ে যায়। এখানে সোলার প্যানেল ল্যাম্পপোস্ট থাকাটা জরুরী।' এক্সপ্রেসওয়েটির দেখভালের দায়িত্বে আছে মুন্সিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ। এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথের (শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এম. এম. হানিফ যায়যায়দিনকে বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে পাঁচ্চর গোল চত্বরে ল্যাম্পপোস্টর স্থাপনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে শিগগিরই বিষয়টি অবগত করা হবে।