ভূঞাপুর পোস্ট অফিসের বেহাল দশা, সেবা ব্যাহত

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০১৯, ০০:০০

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) সংবাদদাতা
বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে চিঠি আদান প্রদানের মাধ্যম পোস্ট অফিসের গুরুত্ব কমলেও বেড়েছে টাকা আদানপ্রদান। কিন্তু বাড়েনি জনবল, অবকাঠামোর উন্নয়ন। পুরোনো সেই পদ্ধতিতেই চলছে ভূঞাপুর পোস্ট অফিস। বর্তমান ডিজিটাল যুগেও কম্পিউটার সিস্টেমের কোনো ছোঁয়া লাগেনি এই পোস্ট অফিসে। নেই কোনো নিরাপত্তা ক্যামেরা। দীর্ঘ আট মাস ধরে বিদু্যৎবিহীন। শুধু পোস্ট মাস্টারের টেবিলে একটি সোলারের টেবিল ফ্যান, একটি লাইট জ্বলে। বাকি সব জায়গায় দিনের বেলাতেও অন্ধকার। পোস্ট মাস্টার সাদিয়া সুলতানা বলেন, নির্মাণ ত্রম্নটির কারণে বিল্ডিংয়ের ছাদ দিয়ে পানি পড়ে সমস্ত ওয়ারিং নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার ভয়ে বিদু্যৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছে। অপর দিকে চারটি ফ্যানের মধ্যে তিনটিই নষ্ট। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানো হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। আর্থিক কর্মকান্ড বাড়লেও জনবল ও অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি। বিল্ডিংয়ের পলেস্তারা খসে খসে পড়ছে। আর্থিক লেনদেন থাকার কারণে মানুষের ভিড়ে আরো গরম বেড়ে যায়। তখন অফিসে টিকে থাকাই মুশকিল হয়ে পড়ে। এ ছাড়া দরজা জানালা ভাঙা। কোনো রকমে কলাপসেবল গেট আটকিয়ে রাখা হয় মূল গেট। বাহিরের পোস্ট বক্সের ঢাকনা ভাঙা। অনায়েসে যে কেউ সেখান থেকে গুরুত্বপুর্ণ চিঠি নিয়ে যেতে পারবে। নাইট গার্ড শাহাদত হোসেন বলেন, অফিসের তিনটি গেটের মধ্যে একটি গেটের তালা-চাবি আছে বাকি দুটি থাকে অরক্ষিত। এ ছাড়া দুর্বল দরজা জানালার কারণে যেকোনো সময় চুরিসহ বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এমতাবস্থায় এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।