মনু নদে পানি কমলেও আতঙ্ক এখনো কাটেনি

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আব্দুল ওয়াদুদ, মৌলভীবাজার পাহাড়ি ও ভারত সীমান্ত বেষ্টিত মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদীতে পানি কিছুটা কমে গেলেও উজান ও ভারত থেকে আসা ঢলে যে কোনো সময় ভয়াবহ বন্যা হতে পারে মৌলভীবাজার শহরসহ মনু নদ এলাকায়। এটির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা জানিয়েছে, এখন বৃষ্টির পুরো মৌসুম। বাংলাদেশ অংশে সৃষ্ট বৃষ্টিতে এ জেলায় পানি বৃদ্ধি পায় না। যে সব পানি মনু নদ দিয়ে প্রবল আকারে প্রবাহিত হয় তার সবটুকু আসে ভারত থেকে। জানা গেছে, মৌলভীবাজার সীমান্ত থেকে ৪৮ কিলোমিটার পূর্বে 'নলকাটা ব্যারেজ' দিয়ে বাংলাদেশে পানি বৃদ্ধি পেয়েছিল। তারা এ ব্যারেজ খুলে দেয়ায় এতেই এ ক'দিন জলমগ্ন থাকে মনু নদ। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, রোববার (১৬ জুন) মনু নদের রেলওয়ে ব্রিজে পানি বিপদসীমার ২০৫ সেন্টিমিটার নিচে, ধলাই বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার নিচে ও কুশিয়ারা নদীতে বিপদসীমার ১১৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। গত দু-তিন দিনে পানি কিছুটা কমে গেলেও এখানকার স্থানীয়রা ঢলের আশংকায় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত পাড় করছেন। উলেস্নখ্য, গেল বছর গভীর রাত্রে উজান ও ভারত থেকে আসা ঢলে মনু নদের মৌলভীবাজার শহরের বাড়ইকোনা ও রাজনগর উপজেলার কদমহাঁটা এলাকায় বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে বাসা-বাড়িতে পানি ঢুকে। এ সময় মৌলভীবাজার শহরের পস্নাবিত হয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়। এ ছাড়াও বড়হাট, ধরকাপন ও মনুমুখ এলাকা পস্নাবিত হয়ে সহস্র্রাধিক মানুষের গবাদি পশুসহ মূল্যবান মালামাল খুঁয়া যায়। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্ত্তী রোববার যায়যায়দিনকে বলেন, আগামী অক্টোবর পর্যন্ত মৌলভীবাজারের মনু ও ধলাই নদ এলাকায় বন্যার আশংকা রয়েছে। তিনি বলেন, কেবল ভারত থেকে আসা ঢলে মনু নদে বন্যার সৃষ্টি হয়। তিনি আরও বলেন, আগামী ২২ জুন ভারতের সঙ্গে আমাদের বৈঠক রয়েছে। বৈঠকে উজানের ঢলের পানি কিভাবে কমিয়ে আনা যায় সেটি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আমরা কথা বলব। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট উত্তর-পূর্বাঞ্চরের প্রধান প্রকৌশলী আমাদের তরফ থেকে বৈঠকে যোগ দেবেন।