কুলাউড়ায় বিএনপির কাউন্সিল স্থগিত

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) সংবাদদাতা দীর্ঘ এক দশক পর কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল ছিল ১৫ জুন। সে লক্ষ্যে সব প্রস্তুতিও সম্পন্ন ছিল। কাউন্সিলররাও ভোট দিতে এসেছিলেন। কিন্তু জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আকস্মিক ঘোষণা আসে, অনিবার্য কারণবশত কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সম্মেলন স্থগিত। এতে ক্ষোভে ফুসে ওঠেন হাজারও নেতাকর্মীসহ আয়োজকরা। উপজেলা বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জেলা কমিটির এমন হঠকারী সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি। এর জন্য তারা দায়ী করছেন কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদকে। তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জুনেদকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান। এদিকে সম্মেলন ও কাউন্সিল সম্পন্ন করতে না পারায় উপজেলা আহ্বায়ক থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা। জানা যায়, সর্বশেষ ২০০৯ সালে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে কুলাউড়ায় এই দলের রাজনীতি ছিল অনেকটা খাদের কিনারায়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে ক্লিন ইমেজ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালানো হয়। সে লক্ষ্যে প্রায় এক দশক পর ১৫ জুন ছিল দলের উপজেলা শাখার কাউন্সিল ও সম্মেলন। অবাঞ্ছিত ঘোষণা প্রসঙ্গে কামাল উদ্দিন আহমদ জুনেদ সাংবাদিকদের বলেন, 'প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গত ১৩ জুন। আমি ১৪ জুন প্রত্যাহারের আবেদন করি। আহ্বায়ক কমিটি তা গ্রহণ করেছেন, এটা সিস্টেমের মধ্যে পড়ে না। এ ছাড়াও কাউন্সিলের কোনো দাওয়াত কিংবা কার্ড আমাকে দেয়া হয়নি।' এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা বলেন, 'বিএনপিকে ক্লিন ইমেজ নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি। জেলা বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক আমাকে ডেকে নিয়ে কাউন্সিল বাতিল ঘোষণা দিয়ে আমার হাতে একটি প্রেস রিলিজ ধরিয়ে দেন। এতে উজ্জীবিত উপজেলা বিএনপিসহ আমরা মর্মাহত হয়েছি এবং আমি আহ্বায়কের পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'