ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে পাঠদান

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০১৯, ০০:০০

ধামইরহাট (নওগাঁ) সংবাদদাতা
নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে চলছে পাঠদান। বিদ্যালয়টির কক্ষের ছাদের বিম ফেটে গেছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে পাঠগ্রহণ করছে শিক্ষার্থীরা। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা বলে ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহল। নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, ১৯১৪ সালে কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপিত হয়। এরপর থেকেই ছেলেমেয়েদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে এই বিদ্যালয়টি। ১৯৯৩-৯৪ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে একটি চার কক্ষবিশিষ্ট ভবনের জন্য বরাদ্দ পাওয়ার পর তৈরি করা হয় স্কুল ভবনটি। গত ২-৩ বছর আগে ভবনটির তিনকক্ষের ছাদের বিম, ছাদ ও ওয়ালে ফাটল ধরে। দিন দিন সেই ফাটল বাড়তেই থাকে। গত কয়েক মাস আগে স্কুল কর্তৃপক্ষ কিছুটা মেরামত করে রেখেছে। আবার একটু বৃষ্টি হলেই ছাদ দিয়ে পানি পরে। বর্তমানে নানান সমস্যায় জর্জরিত হয়ে আছে এই বিদ্যালয়টি। প্রতিবছর এই বিদ্যালয় থেকে মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পেয়ে থাকে। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে ছাদের বিমসহ এসব ফাটল। কালুপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আয়শা আক্তার বলে, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে পাঠগ্রহণ করছি। দ্রম্নত এই সমস্য সমাধান না হলে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কামরুন নাহার জানান, বিদ্যালয়ে প্রতিদিন ১৫০ জন শিক্ষার্থী পাঠগ্রহন করছে। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিদ্যালয়ের ঝুঁকিপূর্ণ কক্ষে পাঠগ্রহণ করতে বাধ্য হচ্ছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, ভবনটির ছাদের বিম, ছাদ ও ওয়ালে ফাটল ধরেছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে বিষয়টি জানিয়েছি। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রইচ উদ্দিন জানান, যদি এই সমস্যা সমাধান না করা হয়, তাহলে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পাড়ে। তাই ঊর্ধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের বিদ্যালয়টির প্রতি সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছি। ধামইরহাট উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, এসব সমস্যার কারণে ইতোমধ্যেই ৩৫টি বিদ্যালয়ের তালিকা নিয়েছি। যাচাই-বাছাই করে আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর রিপোর্ট পাঠিয়েছি।