রাজারহাটে তিস্তা নদীর ভাঙনে ২০ বাড়ি বিলীন

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ২৪ জুন ২০১৯, ১২:৪২

রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) সংবাদদাতা
কুড়িগ্রামের রাজারহাটের তিস্তা নদীর ভাঙনকবলিত এলাকা -যাযাদি
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে তিস্তা নদীর করাল গ্রাসে চতুরা কালীর মেলা গ্রামের ২০টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। নিঃস্ব হয়ে গেছে অর্ধশতাধিক পরিবার। হুমকির মুখে রয়েছে আরও ৫ শতাধিক পরিবার। গত কয়েকদিনে উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চতুরা কালীর মেলা গ্রামের সিদ্দীকুল ইসলাম (৩০), মোতালেব মিয়া (২৫), আমিনুর রহমান (৫০), আনোয়ার হোসেন (৪৫), আলফাজ উদ্দিন (৬৫), তোফাজ্জল হোসেন (৪০), জিন্নাত (৫০), রইমুদ্দিন (৪০), রহমত আলী (৫৫), সুকুমার রায় (৩০), নিবারণ রায় (৪৫), প্রদীপ রায় (৪০), নিবাস রায় (৩৫), উপেন চৌকিদার (৫০), বিনদ (৫০), সুবাস (৫০), বানেশ্বর (৪০), মানিক (৪৫), নরেন (৬০) কৃষ্ণ কুমার (৪৫), নবীন (৫০) বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। বর্তমানে ওই গৃহহারা পরিবারগুলো অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এ ছাড়া নদীভাঙনে প্রায় ৫-৭ একর ফসলী জমিও বিলীন হয়ে যায় বলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো জানান। হুমকির মুখে রয়েছে পাড়মৌলা, তৈয়ব খাঁ, ডাংরারহাট, গাবুর হেলান গ্রামের ৫ শতাধিক পরিবার। তারা চরম উৎকণ্ঠায় দিনযাপন করছেন। এদিকে শনিবার খবর পেয়ে তিস্তা নদীভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের এমপি আলহাজ পনির উদ্দিন ও রাজারহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মো. মাহফুজার রহমান, উত্তরাঞ্চল রংপুরের প্রধান প্রকৌশলী যতিপ্রসাদ ও কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম। তারা নদী ড্রেজিং করে ভাঙন রোধ করার আশ্বাস দেন। বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাইজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভাঙনের শিকার গৃহহারা পরিবারগুলোর জন্য সাহায্য চেয়ে প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে।