২১ জেলায় বিদু্যৎ ব্যবহারে ভৌতিক বিলের অবসান

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

আতিয়ার রহমান, খুলনা
অবশেষে প্রি পেইড মিটারেই ২১ জেলার বিদু্যৎ ব্যবহারে ভৌতিক বিলের অবসান ঘটছে। সেই সাথে কমছে লোডশেডিং ও গ্রাহক হয়রানিসহ নানা সমস্যা। এক সময়ে লোডশেডিং, বিদু্যৎ চুরি, অবৈধ সংযোগ, গ্রাহক ও বিদু্যৎকর্মীদের মধ্যে বিরোধ ছিল খুলনার নিত্যদিনের ঘটনা। সেই সাথে বৈদু্যতিক মিটারে ভৌতিক বিলের যেমন অভিযোগ ছিল, তেমনি কোনো কোনো মিটারে টেম্পারিং করে বিদু্যৎ বিল চুরি করার অপরাধে মোবাইল কোর্টে জেল-জরিমানার ঘটনাও ছিল ধারাবাহিক। এসব সংকট অবসানে খুলনাসহ দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার বিদু্যৎ সরবরাহ ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ওজোপাডিকো) লি. ২০১৫ সালে খুলনা শহরের হাজী মহসিন রোড এলাকায় সর্বপ্রথম প্রি পেইড বৈদু্যতিক মিটার স্থাপনের কাজ শুরু করে। এ পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ায় ২০১৮ সালে সিদ্ধান্ত হয় যে ২০২০ সালের মধ্যে ২১ জেলার প্রায় সাড়ে ৯ লাখ গ্রাহককে প্রি পেইড মিটারের পরিষেবার আওতায় আনা হবে। এবং সরকারিভাবে এ সিদ্ধান্তের আলোকে ইতোমধ্যে প্রায় ২০ শতাংশ গ্রাহকের আঙ্গিনায় প্রি পেইড বৈদু্যতিক মিটার স্থাপন করা হয়েছে। ওজোপাডিকোর প্রধান প্রকৌশলী হাসান আলী তালুকদার বলেন, বিদু্যৎব্যবস্থার উন্নয়ন ও আধুনিকায়ন এখন সময়ের দাবি। প্রি পেইড মিটার সেই দাবির যৌক্তিকতা প্রমাণ করে। এর প্রধান প্রধান সুফল হচ্ছে কোনো গ্রাহককে আর ভৌতিক বিদু্যৎ বিলের মুখোমুখি হতে হবে না। ওজোপাডিকোর শ্রমিক নেতা এসএম শাহাদৎ হোসেন বলেন, প্রি পেইড মিটার ব্যবহারে গ্রাহকরা সাশ্রয়ী হওয়ায় লোডশেডিং যেমন কমেছে, তেমনি সংশ্লিষ্ট এলাকায় ট্রান্সফরমারের ওপর বেহিসাবী চাপ হ্রাস পাওয়ায় আগের মতো আর ট্রান্সফরমার বিকল হচ্ছে না। ওজোপাডিকোর সেক্রেটারি এম এ মোতালেব বলেন, প্রি পেইড মিটারের এই নতুন সংযোগ নিতে জামানতের কোনো টাকা লাগছে না। নতুন মিটারের মূল্যও মাসিক ৪০ টাকা হারে ১২০ মাসে পরিশোধ করা যাবে, যা গ্রাহকদের জন্য সুবিধাজনক। নগরীর নিরালা এলাকার ব্যবসায়ী আতিয়ার রহমান বলেন, প্রি পেইড মিটারের সংযোগে তিনি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কারণ এখন আর মাস শেষে দেখতে হয় না কত বিদু্যৎ বিল হয়েছে। যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই তিনি ক্রয় করেন। মির্জাপুর এলাকার গ্রাহক গৃহবধূ সুমী বলেন, প্রি পেইড মিটারের কারণে তার পরিবারের সদস্যরা এখন বিদু্যৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে।