গ্রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পাখি

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) সংবাদদাতা
'ডাকে পাখি খোলো আঁখি, দেখ সোনালি আকাশ, বহে ভোরেরও বাতাস।' ধানের দেশ, গানের দেশ, পাখির দেশ বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জের মানুষের আর 'বউ কথা কও' পাখির ডাক শুনে ঘুম ভাঙে না। কোকিলের সুমধুর কণ্ঠে আর পাগল হয় না গ্রাম-বাংলার মানুষ। বাংলার পাখি আজ শুধু গানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। শহরের পাশাপাশি গ্রাম থেকেও ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে পাখি। দেশের অন্যান্য গ্রামের মতো চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার গ্রাম-গঞ্জেও এখন আর আগের মতো নানা বর্ণের পাখি দেখা যায় না। কিছুদিন আগেও মাঠে-ঘাটে, ক্ষেতে-খামারে বিচিত্র ধরনের পাখিদের বিচরণ ছিল। ফসলের মাঠে পাখিদের খাবার অনুসন্ধান অতীতে স্বাভাবিক দৃশ্য হলেও এখন আর চোখে পড়ে না। আগের দিনে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বক, শালিক, ঘুঘু, দোয়েল, বাবুই, টুনটুনি, চিল, পানকৌড়ি, ডাহুক, বালিহাঁস, কোকিল ও কাকসহ বিভিন্ন পাখিদের আবাস ছিল। এসব পাখি আর আগের মতো দেখা যাচ্ছে না। বর্তমান প্রজন্মের অনেকে জাতীয় পাখি দোয়েল, ঘুঘু, বাওয়াই, শালিক, টুনটুনি, কাঁঠঠোকরা, কোকিল, ডাহুক, ক্যাসমেচি, বাবুই, মাছরাঙা, পঁ্যাচাসহ অনেক পাখির সঙ্গেই পরিচিত না। এসব পাখির ডাকও তারা কোনোদিন শোনেনি। পাখি কমে যাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে জানা গেছে, ক্ষেতে কীটনাশকের ব্যবহার, ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে বন-জঙ্গল নিধন ও অবৈধ পাখি শিকার এর জন্য দায়ী। অনেকেই মনে করেন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও পাখি সুরক্ষায় জনসচেতনা সৃষ্টির লক্ষ্যে নানা উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন।