সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চলাচলে প্রতিবন্ধকতা

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

এইচএম মোকাদ্দেস, সিরাজগঞ্জ
পরিবেশবান্ধব যানবাহন ও স্বল্প খরচে যাতায়াতের জন্য ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ইতোমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় গণপরিবহনে পরিণত হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষাথীর্ ও অভিভাবক থেকে শুরু করে গ্রামের খেটেখাওয়া দরিদ্র কৃষকের কাছেও সহজলভ্য এ যানবাহনটি। ফলে গ্রামীণ অথর্নীতিতেও ব্যাপক ভ‚মিকা রাখছে এ যানবাহনটি। গ্রামের কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি ও ফলমূল খুব সহজেই ইজিবাইকের মাধ্যমে শহরের নিয়ে আসতে পারছেন। কিন্তু এই যানবাহনটির ওপর নিষেধাজ্ঞাসহ নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় সাধারণ যাত্রী ও মালিক-শ্রমিকরা চরম দুভোের্গর শিকার হচ্ছে। রোববার সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় ঘুরে ইজিবাইক চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শহরের অনেক স্থানেই ইজিবাইক ঢুকতে দেয়া হয় না। এতে যাত্রীদের অতিরিক্ত অথর্ ব্যয় করে চলাচল করতে হচ্ছে। দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষ অতিরিক্ত ভাড়ার যোগান দিতে না পারায় তীব্র রোদের মধ্যেও হেঁটে চলাচল করতে হচ্ছে। সদর উপজেলার বহুলী ইউনিয়নের খাগা গ্রাম থেকে আসা ইজিবাইকযাত্রী আনোয়ার হোসেনের বলেন, আমাকে প্রতিদিনই শহরে আসতে হয়। রিকশায় চড়ে এখানে আসতে ৬০-৭০ টাকা খরচ হতো। এখন ইজিবাইকে মাত্র ২০ টাকায় চলাচল করতে পারছি। মওলানা ভাসানী ডিগ্রি কলেজের প্রথম বষের্র ছাত্র ইয়াসিন আরাফাত বলেন, ইজিবাইক থাকার কারণেই আমরা প্রতিদিন অল্প খরচে কলেজে আসতে পারি। শিয়ালকোল ইউনিয়নের জগৎগাতি গ্রাম থেকে সবজি নিয়ে আসা কৃষক হবিবর রহমান বলেন, কম খরচে আমরা সবজি নিয়ে আসতে পারছি। এতে আমাদের খরচ কম হওয়ায় আয়ও বাড়ছে। স্থানীয়রা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই ইজিবাইক চলাচলের বাধার সৃষ্টি করায় আমরা সমস্যায় পড়ছি। আমাদের দিগুণ ভাড়া গুনতে হচ্ছে। নিয়মিত রিকশা বা অন্য যানবাহনও সঠিক সময়ে পাওয়া যায় না। তাই স্কুল-কলেজের শিক্ষাথীের্দর দাবি ইজিবাইক চলাচল উন্মুক্ত করে দেয়া হলে শিক্ষাথীর্রা সঠিক সময়ে স্বল্প খরচে তাদের ক্লাস ও টিউশনে পেঁৗছাতে পারবে। এদিকে সিরাজগঞ্জ জেলা ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ জানান, সরকারকে রাজস্ব দিয়ে সুদূর চীন থেকে ইজিবাইক আমদানি করা হয়েছে। এসব ইজিবাইক পরিবেশবান্ধব, স্বল্প খরচে চলাচলের সুবিধা ও ঝঁুকিমুক্ত। অথচ এই ইজিবাইক সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কে ট্রাফিক পুলিশ দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছে। মাঝেমধ্যেই যানবাহনটি সিজ করা হচ্ছে। এতে যাত্রী ও শ্রমিকদের নানা দুভোের্গ পড়তে হচ্ছে। মালিকদেরও অনেক ক্ষতি হচ্ছে। তিনি বলেন, দ্রæত এই ইজিবাইক চলাচলে পৌর কতৃর্পক্ষের অনুমোদন প্রদান ও সব রুটে চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হলে যাত্রীরাও যেমন সুবিধা পাবে, তেমনি ইজিবাইকের সঙ্গে জড়িত হাজার হাজার বেকার যুবকের কমর্সংস্থান হবে।