আতঙ্কে খামারিরা

হাটহাজারীতে গরু চুরির হিড়িক

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে ব্যাপকহারে গরু চুরি হচ্ছে। গত এক মাসে উপজেলায় অন্তত নয়টি চুরির ঘটনায় ২১টি গরু চুরি হয়েছে। গরু চুরি বেড়ে যাওয়ায় খামারি ও কৃষকরা উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। চোরেরা প্রায় রাতে কোনো না কোনো বাড়িতে হানা দিচ্ছে। চুরির পর ছোট পিকআপ করে ওইসব গরু নিয়ে যাচ্ছে চোরেরা। চুরি ঠেকাতে অনেক এলাকায় রাত জেগে খামার ও গোয়ালঘর পাহারা দেয়া হচ্ছে। গত রোববার দিবাগত গভীর রাতে শিকারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম বাথুয়া ফতেহ আলীর বাড়ির কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম সোহেলের পঁাচটি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। নুরুল ইসলাম সোহেল জানান, রোববার দিবাগত রাত ২টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে গোয়ালঘর থেকে তিন লাখ টাকা মূল্যমানের পঁাচটি গরু চুরি হয়েছে। এর মধ্যে কোরবানির জন্য লালন-পালন করা একটি ষঁাড়, একটি বন্ধ্যা গাভী ছাড়াও ২টি এঁড়ে ও একটি গাভীও রয়েছে। এদিকে এর আগে গত বুধবার গভীর রাতে হাটহাজারীর মেখল ইউনিয়নের পূবর্ মেখল মনিরুজ্জামান হাজির বাড়ি থেকে প্রবাসী জাবেদের চারটি গরু চুরি হয়েছে। একই ইউনিয়নে গত ১২ জুলাই দক্ষিণ মেখল থেকে আরও চারটি, উত্তর মাদাশার্ থেকে চারটি, পৌর এলাকার মোহাম্মদপুর থেকে একটি, ১১ মাইল এলাকা থেকে একটি, মিজার্পুর ইউনিয়নের চারিয়ার মুরাদপুর থেকে একটি, ছিপাতলী ইউনিয়ন থেকে একটি গরু চুরির ঘটনা ঘটে। পবিত্র কোরবানি ঈদের পূবের্ গরু চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় গরু ব্যবসায়ীসহ গরু লালনপালন করা কৃষকের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। ভুক্তভোগীরা গরু চুরি বন্ধে পুলিশি টহল জোরদার ও বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিউনিটি পুলিশিং কাযর্ক্রম সচল রাখার দাবি জানিয়েছেন। হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কমর্কতার্ (ওসি) মো. বেলাল উদ্দীন জাহাঙ্গীর বলেন, ‘টুকটাক গরু চুরি হচ্ছে। চুরির খবর পাওয়ার পর থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে রাতে পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। গরু চুরির বিষয়ে কেউ থানায় এজাহার জমা দিলে তা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হচ্ছে।’