তিন লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

স্বদেশ ডেস্ক
তিন জেলায় গত দুই দিনে তিন লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দুই ও ফরিদপুরে এক লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর : কালিয়াকৈর (গাজীপুর) : গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সোনাখালী রেল ব্রিজের নিচ ও তুরাগ নদীর মদন খালী এলাকা থেকে অজ্ঞাত দুই লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. হুমায়ুন কবির জানায়, মদনখালী এলাকায় এলাকাবাসী নদীতে অজ্ঞাত পুরুষের লাশ ভাসতে দেখে পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ গলিত লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেন। উদ্ধারকালে লাশের গায়ে কোনো কাপড় ছিল না। অপর দিকে উপ-পরিদর্শক মো. আইনুল হক জানায়, উপজেলার সোনাখালী রেল ব্রিজের নিচে পানিতে ভাসমান অজ্ঞাত পুরুষের লাশ (৩২) ভাসতে দেখে এলাকাবাসী পুলিশে সংবাদ দিলে পুলিশ অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করেন। ফরিদপুর: ফরিদপুরের নগরকান্দায় নিখোঁজের ১৬ দিন পর হত্যাকারীর দেখানো স্থান থেকে প্রতিবন্ধী শিশুর গলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পুরাপাড়া খালের পানির কচুরিপানার নিচ থেকে শিশু আবু বক্করের লাশ উদ্ধার করা হয়। আবু বক্কর (৭) পুরাপাড়া ইউনিয়নের মেহেরদিয়া গ্রামের পাঁচু খলিফার ছোট ছেলে। সে মেহেরদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। গত ১ জুলাই বিকালে সে নিখোঁজ হয়। বুধবার নিহত শিশু আবু বক্করের আপন চাচাতো ভাই একই গ্রামের মৃত টুকু খলিফার ছেলে কলেজ ছাত্র শাওন হোসেন দিনদারকে পুলিশ আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় শাওন আবু বক্করকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে বুধবার দুপুরে শাওনের দেখানো স্থান পুরাপাড়া খালের কচুরিপানার নিচ থেকে গলিত অবস্থায় আবু বক্করের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশুটির পিতা পাচু খলিফা বলেন, ১ জুলাই সন্ধ্যার আগে আবু বকরকে বাড়ির উদ্দেশে প্রতিবেশী মাহবুলের অটো ভ্যানে করে পাঠিয়ে দেই। পরে জানতে পারি আবু বকর বাড়ি যায়নি। অনেক খোঁজাখুঁজি করে পাওয়া যায়নি। আমার মোবাইল ছেলের নিকট ছিল সেই মোবাইল দিয়ে আমাকে ফোন করে বলে ওকে ফিরে পেতে হলে তিন লাখ টাকা নিয়ে মাওয়া ঘাটে যাইতে। সেখানে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মিরাজ হোসেন বলেন, যে মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন করে মুক্তিপণ চেয়েছিল সেই ফোন ট্র্যাকিং করে আমরা আসামি শাওনকে আটক করি। শাওনের স্বীকারোক্তিমূলক এবং শাওনের দেখানো স্থান থেকে শিশুটির গলিত লাশ উদ্ধার করি। নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান জানান, আবু বক্করকে হত্যার পর তার কাছে থাকা একটি মোবাইল ফোনের সিমকার্ড দিয়ে হত্যকারী শাওন তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরই সূত্র ধরে শাওনকে আটক করা হয়। নিখোঁজের পর আবু বক্করের পিতা বাদী হয়ে দায়ের করা মামলাটি এখন হত্যা মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে জানান তিনি।