ধানুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পরিত্যক্ত কক্ষে পাঠদান

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

গুরুদাসপুর (নাটোর) সংবাদদাতা
ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত নাটোরের গুরুদাসপুরের ধানুড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ -যাযাদি
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধানুড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের চাল ঝড়ে উড়ে যাওয়া ও দেয়াল ভেঙ্গে পড়ায় শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষ ও ফাঁকা জায়গায় চলছে পাঠদান। দুই মাস আগে এ ঘটনা ঘটলেও আর্থিক সঙ্কট ও সরকারি-বেসরকারি কোন বরাদ্দ না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষগুলো সংস্কার করা যাচ্ছে না। জানা যায়, গত ১৬ মে বিকালে আকস্মিক ঝড়ে বিদ্যালয়ের একমাত্র আধাপাকা টিনশেড ভবনের চাল উড়ে যায়। একই সঙ্গে একটি ঘরের দেয়ালও ভেঙে যায়। এতে অফিস কক্ষ, প্রধান শিক্ষকের কক্ষসহ শ্রেণিকক্ষে থাকা যাবতীয় মালামাল ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র বৃষ্টির পানিতে ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে চাল না থাকায় এসব কক্ষ ব্যবহার করা সম্ভব হচ্ছে না। অর্থের যোগান না থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও কোনো প্রকার বরাদ্দ না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষগুলো সংস্কার করতে পারছেন না বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে একই মাঠে ধানুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত কক্ষ ও সাইক্লোন সেন্টারের নিচতলার ফাঁকা জায়গাতেই অফিসসহ শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। তবে এতেও বৃষ্টি হলে ক্লাশ চালানো কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানা গেছে। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী জলি জানায়, ঝড়ে ক্লাশরুমের চাল উড়ে যাওয়ায় বর্তমানে সাইক্লোন সেন্টারের নিচে আমরা ক্লাস করি। কিন্তু নিচতলাটা দেয়াল দিয়ে ঘেরা না থাকায় জোরে বৃষ্টি এলে গায়ে পানি পড়ে। এতে ক্লাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর জানান, স্থানীয় উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টির টিনশেড কক্ষেই পাঠদান চলছিল। কিন্তু ঝড়ে চাল উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে বিদ্যালয়ের প্রাত্যহিক কার্যক্রম চালাতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. মহসিন আলী বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে দ্রম্নত ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষগুলো মেরামত করা দরকার। এজন্য স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।